জলবন্দি কাঁথি ৩ ব্লকের দুরমুঠ গ্রামের বাসিন্দারা।
টানা বৃষ্টির জেরে কাঁথি ৩, দেশপ্রাণ, খেজুরি ১ ও ২ এবং রামনগর ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। অধিকাংশ রাস্তাঘাটই জলের তলায়। টানা জল দাঁড়িয়ে থাকায় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে চাষেও। উদ্বেগে কৃষিজীবীরা। দেশপ্রাণ ব্লকের আউরাই, আমতলিয়া অঞ্চলের বাগদা চাষের ভেড়ি অতিবর্ষণে ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যজীবীরাও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেশপ্রাণ ব্লকের জুনপুট থেকে কাদুয়া পর্যন্ত বিস্তৃত কাদুয়া খালের জল উপছে সংলগ্ন বিঘের পর বিঘে ধানজমি জলমগ্ন হয়েছে। দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানার অভিযোগ, “দীর্ঘ দিন কাদুয়া খাল সংস্কার না হওয়ায় এমনটা হল।” স্থানীয়দের ক্ষোভ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির জলনিকাশী অবরুদ্ধ হওয়ায় জল সরছে না।
পটাশপুর ২ ব্লকের জব্দা গ্রামেও জমে জল।
সম্প্রতি খেজুরির মিঁয়ামোড়ে খাল সংস্কারের দাবিতে হেঁড়িয়া-বোগা রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। খেজুরি ২ ব্লকের হলুদবাড়ি অঞ্চলও জলমগ্ন হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়িরও। বহু মাটির ঘর নষ্ট হওয়ায় কাঁথি ৩ ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ নিরাশ্রয় হয়েছেন। ব্লকে চালু করা ৭০টি ত্রাণ শিবিরে এত দিন ব্লক থেকে ত্রাণ দেওয়া হলেও বর্তমানে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে ডিওয়াইএফের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ঝাড়েশ্বর বেরা অভিযোগ করেছেন।
তাঁর অভিযোগ, এতে দুর্গত এলাকার মানুষজন আরও দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। দ্রুত শিবিরগুলি চালু করার দাবি জানান তিনি। কাঁথি মহকুমায় ধান ও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা অশোক শীট। তাঁর কথায়, জমা জল সরলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy