ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে। বৃহস্পতিবার ব্লকের নোনাকুড়ি বাজারে কমিউনিটি হলে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর তমলুকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মহাসমাবেশের এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সময়েই হলের প্রায় একশো মিটার দূরে ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিবাকর জানার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কাজের প্রতিবাদ জানাতে হলদিয়া- মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে বিদ্যাসাগর মূর্তির কাছ থেকে ওই বাজারে মিছিল করা হয়। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভায় উপস্থিত ছিলেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক অখিল গিরি, বিপ্লব রায়চৌধুরী, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আনিসুর রহমান।
প্রস্তুতি সভায় সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “সিবিআই যেভাবে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে তদন্ত করছে, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। আজ মহিলাদের আন্দোলন হচ্ছে। আগামীদিনে যুব সংগঠন আন্দোলন করবে।” সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌমেনবাবু বলেন, “সারদা নিয়ে অসম, ওড়িশায় সিবিআই তদন্ত হলেও তা নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে। কিন্তু এরাজ্যে সারদাকে যাঁরা পুষ্ট করেছে, তাঁদের বাদ দিয়ে তদন্তের অভিমুখকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে আসা একটি দলকে নিশানা করা হচ্ছে।”
উভয় পক্ষের সভা ও মিছিল নির্বিঘ্নে কাটলেও সভা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল থেকে মাইকে আনিসুর রহমান, সৌমেন মহাপাত্র, অখিল গিরি গো ব্যাক বলে স্লোগান দেওয়া হলে তাল কাটে। সেই সময় আনিসুর রহমান গাড়ি থেকে নেমে এলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আনিসুর অভিযোগ করেন, “দলের যুব সংগঠনের সভাকে বানচাল করতে দলেরই একাংশ চেষ্টা করেছে। ওঁরা দলের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। আজকের এই ঘটনার বিষয়ে আমরা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানাব।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিবাকর জানা বলেন, “আমাদের মিছিলের কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত। আমরা সেজন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছি। ওঁরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের হুমকি দিচ্ছিল। তাই আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy