দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূল সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হল নন্দীগ্রামের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৃণমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুকসানা বেগমের বিরুদ্ধে আট জন তৃণমূল সদস্য অনাস্থা আনেন। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ন’জন সদস্য রয়েছেন। তাছাড়াও কংগ্রেসের দু’জন ও দু’জন নির্দল সদস্য রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় প্রধান রুকসানা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সরব হন অধিকাংশ তৃণমূল সদস্য। এনিয়ে দলীয়ভাবে আলোচনার পর দলের ব্লক সভাপতি চিঠি দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও প্রধান পদত্যাগ না করায় দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। গত ৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েতের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রধানের বিরুদ্ধে উপ-প্রধান গুরুপদ মাইতি-সহ তৃণমূলের আট জন সদস্য বিডিও’র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও সভা ডাকেন। এ দিন সভায় পঞ্চায়েতে আট জন তৃণমূল সদস্য উপস্থিত থাকলেও প্রধান ছিলেন না। এ দিন বিডিও’এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আলোচনার পর ভোটাভুটিতে ৮-০ ব্যবধানে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়।
অন্য দিকে, বামফ্রন্ট পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে দলের সদস্যরাই অনাস্থা আনলেন। কোলাঘাটের সিদ্ধা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান প্রণতি মাইতির বিরুদ্ধে গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন বামফ্রন্ট সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে অফিসে সভা ডাকা হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, “ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বামফ্রন্টের অধিকাংশ সদস্য প্রধানকে অপসারণের পক্ষে বলে জানতে পেরেছি। দলীয়ভাবে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy