Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

দোকান মালিককে খুনের নালিশ, ধৃত প্রাক্তন কর্মী

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সেলুন মালিককে খুনের অভিযোগে তাঁরই প্রাক্তন এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কোলাঘাট থানার পুলিশ উত্তরপ্রদেশ থেকে ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃত কালীপদ মান্নার বাড়ি তমলুকের শ্রীরামপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ মান্না দিল্লিতে কয়েক বছর ধরে সেলুন দোকান চালাচ্ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১২
Share: Save:

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সেলুন মালিককে খুনের অভিযোগে তাঁরই প্রাক্তন এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কোলাঘাট থানার পুলিশ উত্তরপ্রদেশ থেকে ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃত কালীপদ মান্নার বাড়ি তমলুকের শ্রীরামপুর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ মান্না দিল্লিতে কয়েক বছর ধরে সেলুন দোকান চালাচ্ছিলেন। বছর পঁয়ত্রিশের জগন্নাথের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-ও দিল্লিতে থাকতেন। জগন্নাথ তাঁর দোকানে কাজ করতে নিয়ে যান এলাকার বাসিন্দা কালীপদকে। সেখানেই জগন্নাথের স্ত্রী-র সঙ্গে কালীপদর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। তা জেনে জগন্নাথ তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন। কালীপদ তমলুকের বাড়িতে ফিরে আসে। তখনও জগন্নাথের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কালীপদর যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ।

জেরায় কালীপদ জানিয়েছে, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তাঁকে বিয়ের জন্য জগন্নাথের-স্ত্রী জোরাজুরি করে। এরপরই তাঁরা দু’জনে জগন্নাথকে খুনের পরিকল্পনা করে। এ বছরের দুর্গাপুজোর কিছু আগে জগন্নাথ স্ত্রীকে নিয়ে তমলুকের বাড়িতে আসে। তখনই কালীপদ সঙ্গী মলয় খাঁড়াকে নিয়ে জগন্নাথকে খুন করে বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জগন্নাথের দাদা প্রথমে কালীপদ ও তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। কোলাঘাট থানার পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুড়ারি থেকে মলয়কে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জগন্নাথের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করে।

ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কালীপদর নাম উঠে আসে। পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনার পর থেকেই কালীপদ ফেরার ছিল। তদন্তে পুলিশ জানে কালীপদ উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি এলাকায় পূর্ব পরিচিত একটি দোকানে গিয়ে কাজ করছে। কোলাঘাট থানার পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে সেখানে হানা দিয়ে কালীপদকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জগন্নাথকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tamluk shop owner
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE