ভাঙচুর হওয়া বাস।ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
ট্রাক্টরের পিছনে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। জখম হন ট্রাক্টরে থাকা আরও তিন জন। বুধবার সকালে ৬০ নম্বর রাজ্য সড়কে সতকুঁই এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর ক্ষিপ্ত জনতা সতকুঁই এলাকায় ঘাতক বাসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে পথ অবরোধ করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হরেন দোলুই (২৮)। তিনি মেদিনীপুরের আমতলার বাসিন্দা। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সতকুঁই এলাকায় একাধিক গ্রামের সড়ক এসে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় খড়্গপুর ১ ব্লকের বিডিও অফিস থাকায় অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করে। ফলে ওই এলাকায় আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই দুর্ঘটনা রোধে ওই এলাকায় দু’টি হাম্প দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি ওই হাম্পগুলি ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে যানবাহনের গতি বাড়ায় দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে। এ দিন আনন্দপুর থেকে দীঘাগামী ওই যাত্রীবাহী বাসটি মেদিনীপুর থেকে দ্রুত গতিতে খড়্গপুরের দিকে আসছিল। সতকুঁইয়ে মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুরের চৌরঙ্গীগামী একটি বালিবোঝাই ট্রাক্টরকে ওই বাসটি পিছন থেকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাক্টর থেকে হরেন দোলুই ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। সেই সময় বাসটি হরেনবাবুর উপর দিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জখম হন ট্রাক্টরে থাকা আরও তিন জন। তাঁদের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বাসটিকে আটকায়। তারা বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে বাসটিতে ভাঙচুর চালায়। বাসের চালক ও কন্ডাক্টর পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের জেরে যানজট তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে ওই সড়কের হাম্প পুনর্নির্মাণ করতে হবে। ওই বাসের চালককে খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা। স্থানীয় বাসিন্দা রামচন্দ্র মাঙ্কি বলেন, “এই সংকীর্ণ সড়ক দিয়েই দু’ দিকে যানবাহন দ্রুতগতিতে যাতায়াত করে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে হাম্পগুলি ভেঙে রাস্তা মসৃণ করা হল। কিন্তু রাস্তায় হাম্প না থাকায় গাড়িগুলি বেপরোয়া ভাবে চালাচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।” পুলিশ রাস্তায় হাম্প নির্মাণের বিষয়ে আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। চালকের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy