Advertisement
E-Paper

ধর্ষণে অভিযুক্ত ইএফআর কর্তা ধৃত

নেপালি যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল (ইএফআর)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট উদয়শঙ্কর হাজরা। তিনি খড়্গপুরের সালুয়ায় কর্মরত। রবিবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় ডেকে পাঠিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হলে এক দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। গত ১২ জানুয়ারি রাতে ওই নেপালি যুবতীকে আবাসনে ডেকে উদয়শঙ্করবাবু ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২৩

নেপালি যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল (ইএফআর)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট উদয়শঙ্কর হাজরা। তিনি খড়্গপুরের সালুয়ায় কর্মরত। রবিবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় ডেকে পাঠিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হলে এক দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। গত ১২ জানুয়ারি রাতে ওই নেপালি যুবতীকে আবাসনে ডেকে উদয়শঙ্করবাবু ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। যুবতী প্রথমে সালুয়ার ইএফআর কমান্ডান্টের কাছে অভিযোগ জানান। ১৪ জানুয়ারি ইএফআরের তরফে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। ধর্ষণের মামলা রুজু করে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ।

অভিযোগকারিণী বছর আঠাশের ওই যুবতীর বাড়ি খড়্গপুর শহরের আয়মা এলাকায়। তাঁর বাবা সালুয়ার ইএফআর জওয়ান। সেই সূত্রে সালুয়ায় যাতায়াত ছিল যুবতীর। তাঁর অভিযোগ, গত ১২ জানুয়ারি উদয়শঙ্কর হাজরা রাইফেলম্যান দিয়ে তাঁকে আবাসনে ডেকে আনেন। তারপর জোর করে মদ্যপান করিয়ে তাঁকে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরলে যুবতী দেখেন তাঁর পরনে পোশাক নেই। তা দেখেই ধর্ষণের আশঙ্কা করেন তিনি। যুবতীর অভিযোগ, “বাবাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে আগেও উদয়শঙ্করবাবু আমাকে ডেকেছিলেন। তখন আমি মা অথবা ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই রাতে রাইফেল ম্যান পাঠিয়ে আমাকে একা ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।”

ঘটনার পরেই ইএফআর কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করেন ‘রাইফেল ম্যান’ হরি ছেত্রীকে। এ বার ধর্ষণে অভিযুক্ত উদয়শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতীর ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে একাধিকবার তিনি উদয়শঙ্কর হাজরার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আবার অভিযোগে জোর করে মদ্যপান করানো বা বিবস্ত্র করার কথা বলা হলেও যুবতী ধর্ষণের কথা স্পষ্ট করে বলেননি। তাই প্রাথমিকভাবে ধর্ষনের মামলা রুজু করা হলেও প্রকৃত ঘটনা কী তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে গ্রামীণ থানার পুলিশ। এ বিষয়ে ইএফআর-এর কমান্ডান্ট ফারহাত আব্বাসের বক্তব্য, “রাইফেল ম্যানকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি আমার এক্তিয়ারে ছিল। সেই মতো পদক্ষেপ করেছি। কিন্তু অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট হওয়ায় উদয়শঙ্কর হাজরার সাসপেন্ডের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র দফতর দেখছে।”

salua uday shankar hazra efr officer nepali girl nepali girl raped rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy