প্রতিশ্রুতি মতো টাকা ফেরত না পাওয়ায় ফের এক অর্থলগ্নিকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হলেন আমানতকারীরা। ডলফিন ইউনিভারসাল রুরাল ডেভেলপমেন্ট, ডলফিন ইনফ্রা টাওয়ার লিমিটেড, ডলফিন ইনফ্রা পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড-সহ একাধিক নামে এই সংস্থা খড়্গপুরের বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে গ্রাহকদের থেকে টাকা তুলেছিল। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা ফেরত না পাওয়ায় রবিবার খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত দাবিপত্র জমা দেন কয়েকজন আমানতকারী। তাঁদের অভিযোগ মূলত সংস্থার খড়্গপুর শাখার ম্যানেজার গৌতম মুখোপাধ্যায় ও ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তম মাইতির বিরুদ্ধে। সংস্থার খড়্গপুর শাখার ম্যানেজার গৌতমবাবু বলেন, “আমি নিজেও বেতন না পেয়ে কাজ ছেড়ে দিয়েছি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও টাকা দেওয়া হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, আমানতকারীরা এ দিন লিখিত অভিযোগ জমা দেননি। তা দিলে তদন্ত করে দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের গোড়ায় খড়্গপুরের মালঞ্চ ও ইন্দা এলাকায় অফিস খোলে লগ্নি সংস্থাটি। এলাকার গ্রাহকদের থেকে তারা কয়েক কোটি টাকা তুলেছিল বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার হয়ে কাজ করেছিলেন ১৩০ জন এজেন্ট। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকেই অবশ্য পাততাড়ি গোটাতে শুরু করে সংস্থাটি। আমানতকারীরা গোড়ায় সংস্থার শাখা অফিসের ম্যানেজারের দ্বারস্থ হন। তবে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি পাওয়া ছাড়া আর কোনও সুরাহা হয়নি। গ্রাহকেরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁরা সংস্থার কলকাতা অফিসেও গিয়েছিলেন। লাভ হয়নি তাতেও।
এরপরই এ দিন টাকা ফেরতের দাবিতে খড়্গপুর টাউন থানার দ্বারস্থ হন আমানতকারীরা। খড়্গপুর গ্রামীণের ধুলিয়াপাতার শিশির মাহাতোর কথায়, “বেশি লাভের আশায় টাকা রেখে সর্বস্ব হারালাম।” শহরের ধানসিংহ ময়দানের রেলকর্মী ডি দেবদাস বলেন, “মেয়ের বিয়ের জন্য মোট ১০লক্ষ টাকার এমআইএস করেছিলাম। প্রথম কয়েকমাস ৩০ হাজার টাকা করে পেলেও পরে আর টাকা পাইনি। বাধ্য হয়ে মেয়ের বিয়ে বাতিল করতে হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy