গ্রাম সংসদ সভার শেষে তৃণমূল ও বিজেপির গোলমালে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল ডেবরায়। শুক্রবার রাতে ডেবরার ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। এ দিন ওই এলাকায় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বৈঠক চলাকালীন দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করেছে বিজেপিও। দু’পক্ষই পুলিশে ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও রবিবার পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভবানীপুর পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে সিপিএম। গত লোকসভা নির্বাচনের পরে সিপিএম ছেড়ে অনেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এলাকায় শক্তি বেড়েছে বিজেপির। এ দিন সন্ধ্যায় ওই এলাকাতেই গ্রাম সংসদের সভা বসেছিল। ওই সভার পরে বিজেপির একটি দলীয় বৈঠক চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর এ দিন রাতে ভবানীপুর, কিশোরপুর, রঘুনাথপুর, গোপীনাথপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অশান্তি ছড়ায়। পাঁচ জন তৃণমূল কর্মীরও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। শনিবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, প্রদ্যোত্ ঘোষ, ব্লক তৃণমূল সভাপতি রতন দে-সহ একটি প্রতিনিধিদল ওই এলাকায় যায়। এ দিনই বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়, নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য-সহ একটি দল ডেবরা থানায় যায়। তবে পুলিশের অনুমতি না থাকায় বিজেপি নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “গ্রাম সংসদ সভার পরে বিজেপির কয়েকজন বহিরাগত এলাকায় বৈঠক করায় আমাদের একটা মিছিল হয়েছিল। তবে কোনও হামলা চলেনি। কিন্তু সিপিএমের সঙ্গে মিলে বিজেপি আমাদের সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে।” যদিও এই ঘটনায় বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের ওপর হামলা চলেছে। বেশ কিছু গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তারপর ওঁদের (তৃণমূল) গোষ্ঠী কোন্দলে কিছু ঘরবাড়ি ভেঙেছে বলে শুনেছি। আমরা পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy