Advertisement
০৬ মে ২০২৪

বিজেপি-তৃণমূল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে: সেলিম

নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতকে একসুরে বিঁধলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম। সোমবার বিকেলে কেশিয়াড়ির জগন্নাথমন্দির ময়দানে মেদিনীপুরের বামপ্রার্থী প্রবোধ পণ্ডার সমর্থনে জনসভা হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে চিটফান্ড-কাণ্ড থেকে মমতা-মোদী ‘সাজানো যুদ্ধে’র তত্ত্ব সাজিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। গরিবের একমাত্র বন্ধু বামেরাই এই দাবিও করেন কেন্দ্রীয় কমিটির ওই সদস্য।

প্রবোধ পণ্ডার সমর্থনে কেশিয়াড়িতে মহম্মদ সেলিমের সভা। —নিজস্ব চিত্র

প্রবোধ পণ্ডার সমর্থনে কেশিয়াড়িতে মহম্মদ সেলিমের সভা। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৪ ০১:১১
Share: Save:

নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতকে একসুরে বিঁধলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম। সোমবার বিকেলে কেশিয়াড়ির জগন্নাথমন্দির ময়দানে মেদিনীপুরের বামপ্রার্থী প্রবোধ পণ্ডার সমর্থনে জনসভা হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে চিটফান্ড-কাণ্ড থেকে মমতা-মোদী ‘সাজানো যুদ্ধে’র তত্ত্ব সাজিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। গরিবের একমাত্র বন্ধু বামেরাই এই দাবিও করেন কেন্দ্রীয় কমিটির ওই সদস্য।

এ দিন সভার শুরু থেকেই তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এই সিপিএম নেতা। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদী ফেব্রুয়ারি মাসে দিদিকে লাড্ডু খাওয়াতে এসেছিলেন। এখন বোঁদে তেতো হয়ে গিয়েছে। তাই এখন সারদার কথা বলছেন।” তাঁর কথায়, “মমতা এক বছর ধরে আরএসএসের নাম, বিজেপির নাম বলেনি। এখন বলছেন।” তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোপন সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “ওঁরা আগে নম-নম করছিল। এখন মম-মম বলছে। চলো মমতা-মোদি হবে। কিন্তু মমতা-মোদী করলে মুসলিম ভোট কমে যাবে! তাই তারা একটু সাজানো যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে।”

চিটফান্ড-কাণ্ডে সিপিএম যে আগেই তদন্তের কথা বলেছিল, তা-ও এ দিন স্মরণ করিয়ে দেন সেলিম। তিনি বলেন, “শুধু সারদা নয় এ রকম ডজন-ডজন চিটফান্ড লক্ষ লক্ষ মানুষের সর্বস্ব নিয়ে নিয়েছে।” কেশিয়ারির পর সন্তোষ রাণার সমর্থনে সবংয়েও সভা করেন তিনি। সন্তোষবাবুর প্রতিপক্ষ, মানস ভুঁইয়ার দল কংগ্রেস কেন আগে চিটফান্ড নিয়ে সরব হয়নি সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই সিপিএম নেতা।

এ দিন কেশিয়ারির সভায় আসার পথে নয়াগ্রামের ডাঁহিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। প্রতিবাদ করে প্রহৃত হন তিন সিপিএম কর্মী। ঘটনার কথা মানতে চায়নি তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE