Advertisement
E-Paper

বাজার মাতাচ্ছে পাখি চুড়িদার আর টি শার্ট

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে গিয়েছে পুজোর ফ্যাশনও। বিশেষ করে নবীন প্রজন্ম এখন অনেকটাই ফ্যাশন সচেতন। পুজোর কোন দিন কী পরবেন, তা এখনই অনেকের ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। সেই মতোই চলছে কেনাকাটা। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। মেদিনীপুর-খড়্গপুরে জোরকদমে চলছে কেনাকাটা। কত পোশাক, কত রং।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩২
বড়বাজারে কেনাকাটার ভিড়। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

বড়বাজারে কেনাকাটার ভিড়। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে গিয়েছে পুজোর ফ্যাশনও। বিশেষ করে নবীন প্রজন্ম এখন অনেকটাই ফ্যাশন সচেতন। পুজোর কোন দিন কী পরবেন, তা এখনই অনেকের ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। সেই মতোই চলছে কেনাকাটা।

হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। মেদিনীপুর-খড়্গপুরে জোরকদমে চলছে কেনাকাটা। কত পোশাক, কত রং। তার মধ্যেই পছন্দেরটা খুঁজে নেওয়া। আসলে পুজো মানেই যেন স্পেশ্যাল কিছু। সাজগোজ করে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো। নানা থিমের প্রতিমা, আলোকসজ্জা দেখা। নিজেও নতুন ভাবে চেনানো। পুজোর দিনগুলো একটু অন্যরকম ভাবে কাটাতে চায় সবাই। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় এখন পুজোর বাজার যে জমে উঠেছে, তা মানছেন ব্যবসায়ীরাও। অনেকে তো দম ফেলার ফুসরতই পাচ্ছেন না! সব কিছু গুছিয়ে দোকান বন্ধ করতে করতে বেশি রাত হয়ে যাচ্ছে। মেদিনীপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় রায় বলছিলেন, “পুজোর বাজার বেশ জমে গিয়েছে। দোকানগুলোতে ভিড়ও হচ্ছে।”

শহর ও শহরতলির দোকানে ঢুঁ মেরে জানা গেল, এখন নতুন প্রজন্মের অনেকেরই পছন্দ একরঙা পোশাক। হালকা রঙের টি-শার্টের প্রতি ঝোঁকই বেশি। কেউ কেউ প্রিন্টেড টি-শার্টও কিনছেন। কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের বেশি ঝোঁক ন্যারো জিনসের দিকে। কেউ কেউ রঙিন সুতির প্যান্টও কিনছেন। শার্টে সাধারণ কলার থাকলে সেই শার্ট বিক্রি হচ্ছে কম। এখন বেশি চাহিদা প্রিন্স কলারের। সঙ্গে মোদী-ড্রেসের চাহিদাও আছে। কেউ কেউ লং কুর্তা, পাতিয়ালা প্যান্টও কিনছেন। শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী রাজীব আহমেদ বলেন, “এ বার একরঙা শর্ট-শার্টই বেশি বিক্রি হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরও চলতে হয়। তাই আমরাও চাহিদা বুঝে একরঙা শার্ট বেশি রাখছি। আসলে গত কয়েক বছরে পোশাকে প্রচুর পরিবর্তন এসেছে। রুচি বদলাচ্ছে।” একই মত আর এক বস্ত্র ব্যবসায়ী অসিত লৌহের। তাঁর কথায়, “এ বার একরঙা শার্টই বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনেকে হালকা রঙের পোশাক খুঁজছেন। মোদী-ড্রেসও বিক্রি হচ্ছে।”

মেয়েদের পোশাকে এ বার বাজার মাতাচ্ছে পাখি চুড়িদার। নানা রঙের পাখি চুড়িদার চোখে পড়ছে শহর এবং শহরতলির দোকানে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় চরিত্র পাখির পোশাকের অনুকরণেই নেটের এই চুড়িদার। দাম এক থেকে চার হাজার টাকা। বিকোচ্ছে হাল ফ্যাশনের জিন্স, টপ, বাহারি দোপাট্টা, রংবাহারি বেল্টের সঙ্গে একরঙা প্যান্ট। আনারকলি ছাড়াও নানা ধরনের কুর্তি, কামিজ তো আছেই। শহরের অরণিকা চট্টোপাধ্যায়, দোলা দে-র কথায়, “পুজোর সময় একটু অন্য রকম কিছু না হলে কী চলে!” অরণিকা এ বার দু’টো পাখি চুড়িদার কিনেছেন। একটার রং হলুদ। অন্যটার গোলাপি। সঙ্গে কুর্তি, টপ, লেগিংস্। দোলাও কুর্তি, টপ, জেগিংস্, সালোয়ার কিনেছেন। বাজারে বিভিন্ন রঙের টপ রয়েছে। রয়েছে প্রিন্টেড টপও। পাশাপাশি, লম্বা ঝুলের ফ্রক, রাজস্থানি ঘাঘরার ঢঙে ডিজাইনার লাচারও কদর রয়েছে। শাড়িতেও বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। শিফন, ইক্কত, বেঙ্গালুরু সিল্কের পাশাপাশি বিকোচ্ছে ধনেখালি, জামদানির মতো ঐতিহ্যের তাঁত। অনেক ক্ষেত্রে শাড়ির উপরই হালকা সুতোর কাজ থাকছে। ফলে, সেই শাড়ি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর কথায়, “পাঁচজনের পাঁচ রকম পছন্দ। আমাদের সব রকমই রাখতে হয়।”

pujo shopping fashion trend barun dey medinipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy