মানুষের বোমা বাঁধার সময় রয়েছে, অথচ বই পড়ার সময় নেই শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর বইমেলার সূচনায় এমনই কথা শোনা গেল আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি শ্রীজাত-এর গলায়। এ দিন তিনি বিদ্যাসাগর আবাসন প্রাঙ্গণে বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়নের উদ্বোধন করেন। আর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে গোটা বইমেলার উদ্বোধন করেন কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক রূপক সাহা। মেলা চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রেলশহরে শুধু রেল কারখানার ঘড়ঘড়ে আওয়াজ নয়, শহরে সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাস আজও নজরকাড়া। যদিও এক সময় সবই প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। প্রয়াত সাংসদ নারায়ণ চৌবের ছোট ছেলে মানস চৌবে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পরে বড় ছেলে গৌতম চৌবে বাবা ও ভাইয়ের নামে মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গড়ে বইমেলার পরিকল্পনা করেন। সেই ২০০০ সালেই ১৮টি স্টল নিয়ে যাত্রা শুরু করে বইমেলা।
গৌতম চৌবের মৃত্যুর পরেও মেলা বন্ধ হয়নি। দিন যত এগিয়েছে বেড়েছে মেলার বহর। নামী শিল্পীদের সঙ্গেই এই বইমেলা তুলে ধরেছে শহরের নতুন প্রতিভাকে। নতুন বছরেও একই নিয়মে গিরিময়দান রেলস্টেশন সংলগ্ন বিদ্যাসাগর আবাসন প্রাঙ্গণে শুরু হল বইমেলা। এ বারের বইমেলায় আনন্দ, ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট (এনবিটি), দে’জ, পুনশ্চ-র মতো ৬৫টি স্টল রয়েছে। এ বার চার প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তির স্মরণে একটি লিটল ম্যাগাজিনের প্যাভেলিয়ন খুলছে মেলা কমিটি। প্রতিদিনই থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আসছেন মুম্বইয়ের সঙ্গীতশিল্পী আকৃতি কক্কর, অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অনিরুদ্ধ ঘোষাল, বাউল গানে লক্ষ্মণ দাস বাউলের মতো শিল্পীরা। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সৌমেন চক্রবর্তী। পরে তবলার ফিউশনে হাজির ছিলেন রিম্পা শিব, আবৃত্তিতে লীনা গোপ, রেখা অধিকারী, সেতারে কাজল বসু। উদ্বোধনের পরে কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর মন্তব্য, “এমন ছোট ছোট বইমেলার ছোট ছোট দীপ একদিন দীপাবলি হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy