Advertisement
০২ মে ২০২৪
রাজ কলেজে নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি

বহিষ্কৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

অবশেষে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হল ‘বহিষ্কৃত’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) নেতা সৌমেন আচার্য ওরফে বুড়ার বিরুদ্ধে। করলেন সে-ই নিগৃহীত শিক্ষক বাদল জানা, গত ১১ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে ঢুকে যাঁর জামার কলার ধরে সৌমেন চড় কষাতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ দিন বাদলবাবুর অভিযোগটি ‘ফরওয়ার্ড’ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্ত, যিনি গত সোমবার পুলিশের কাছে ‘কিছু বহিরাগত’ কলেজে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ জানান।

পুলিশি প্রহরা। ঝাড়গ্রামে দেবরাজ ঘোষের তোলা ছবি।

পুলিশি প্রহরা। ঝাড়গ্রামে দেবরাজ ঘোষের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪০
Share: Save:

অবশেষে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হল ‘বহিষ্কৃত’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) নেতা সৌমেন আচার্য ওরফে বুড়ার বিরুদ্ধে। করলেন সে-ই নিগৃহীত শিক্ষক বাদল জানা, গত ১১ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে ঢুকে যাঁর জামার কলার ধরে সৌমেন চড় কষাতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ দিন বাদলবাবুর অভিযোগটি ‘ফরওয়ার্ড’ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্ত, যিনি গত সোমবার পুলিশের কাছে ‘কিছু বহিরাগত’ কলেজে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ জানান।

সহকর্মী যেখানে এ দিন সৌমেনের নামে অভিযোগ করতে পারলেন, সোমবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করেননি কেন? নিমাইচাঁদবাবুর জবাব, “সব কৈফিয়ত কি আপনাদের দিতে হবে? আপনারা জলঘোলা করছেন।”

ঝাড়গ্রাম থানায় সোমবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তারই ভিত্তিতে এ দিন সকাল থেকে কলেজ চত্বরে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নিমাইচাঁদবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাড়গ্রাম থানার আইসি তানাজি দাস এ দিন কলেজে তদন্তে গেলে বাদলবাবু সৌমেন ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। বাদলবাবু বলেন, “শিক্ষক হয়ে সত্য লুকোতে পারব না। তাই স্পষ্ট করে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছি।” সৌমেন ফোন ধরেননি। পরে তাঁর মোবাইলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর পরে কি পুলিশ সৌমেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষের সঙ্গে বহু বার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। জবাব আসেনি এসএমএসের।

২০১২-র সেপ্টেম্বরে রাজ কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ কিশোরকুমার রাঢ়ীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল সে সময়ে টিএমসিপি-র জেলা সহ-সভাপতি সৌমেনের বিরুদ্ধে। তখন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরবাবু। কিন্তু সৌমেনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বদলি হয়ে যান কিশোরবাবু। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলের আশঙ্কা, এ দিন অভিযোগ জানানোর পরে সরকারি কলেজের শিক্ষক বাদলবাবুকেও না বদলি হতে হয়! যদিও খোদ বাদলবাবু বলেছেন, “অসম্মানের বিহিত চাই। সেটাই আমার কাছে বড় কথা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE