Advertisement
০২ মে ২০২৪

মা ও স্ত্রীকে মারধর, ধৃত প্রাথমিক শিক্ষক

মা ও স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক প্রাথমিক শিক্ষককের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েতের এলাসাই গ্রামে। অভিযুক্ত দেবেশ চন্দকে রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কেশিয়াড়ি ব্লকেরই হাসিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩৫
Share: Save:

মা ও স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক প্রাথমিক শিক্ষককের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েতের এলাসাই গ্রামে। অভিযুক্ত দেবেশ চন্দকে রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কেশিয়াড়ি ব্লকেরই হাসিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে মা রেখা চন্দ ও স্ত্রী পাপিয়াকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবেশের মামাশ্বশুর ক্ষিতীশচন্দ্র পয়ড়্যা। গুরুতর জখম অবস্থায় রেখাদেবী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে থেকেই সংসারে নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি করতেন দেবেশ। বছর পাঁচেক হল তিনি মদ্যপান শুরু করেন। এই নিয়ে প্রতি রাতে পরিবারে অশান্তি হত। বছর খানেক আগে স্বামীর অত্যাচারে বেলদায় বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন পাপিয়াদেবী। পরে অবশ্য তিনি ফিরে আসেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে দেবেশ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে স্ত্রী প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তখন তাঁকে মারধর করতে থাকেন দেবেশ। মা রেখাদেবী বাধা দিলে দরজা বন্ধ করে তাঁকেও বেধড়ক মারেন দেবেশ। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পড়শিরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে জখম রেখাদেবীকে উদ্ধার করে কেশিয়াড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে দেবেশের মামাশ্বশুর বেলদার ঠাকুরচকের বাসিন্দা ক্ষিতীশচন্দ্র পয়ড়্যা অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেফতার করা হয় ওই শিক্ষককে। কেশিয়াড়ির অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই শিক্ষক জেলবন্দি রয়েছেন খবর এলে বিভাগীয়ভাবে যা করণীয়, তা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

khragpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE