কলেজে ঢোকায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন (টিএমসিপি)-এর শহর সভাপতি রাজা সরকার-সহ সংগঠনের নেতাদের মারধর করার প্রতিবাদে মিছিল করল টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সদস্যরা। শুক্রবার খড়্গপুর কলেজে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রসূন চক্রবর্তী। গত বুধবার কলেজে বহিরাগত অনুপ্রবেশের অভিযোগে টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়। সেই সংঘর্ষে ছাত্র পরিষদেরও (সিপি) জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রাজা সরকারের অনুগামীরা টিএমসিপি-র অন্য গোষ্ঠীর নেতা হায়দার আলির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের তালিকায় নাম ছিল সিপি-র মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সহ-সভাপতি অমিত পাণ্ডেরও। এরপর শুক্রবার টিএমসিপির শহর সভাপতির অনুগামী হিসেবে পরিচিত প্রসূন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে খড়্গপুর কলেজে মিছিল করল টিএমসিপি। তাঁদের অভিযোগ, বুধবার কলেজের ছাত্র সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত কিছু ছাত্র সিপি-র সদস্যদের সঙ্গে মিলে সংগঠনের একটি ছাত্রীকে কটূক্তি করে। সেই সময়ে রাজা সরকার প্রতিবাদ করায় তার ওপরও হামলা চলে বলে অভিযোগ। এ দিন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রসূন চক্রবর্তী বলেন, “বুধবার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও আমার সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি নিয়েই সংগঠনের শহর সভাপতি কলেজে ঢুকেছিল। কিন্তু তাঁর উপরে অতর্কিতে হামলা চালায় সংগঠন থেকে বহিস্কৃত এক যুবক ও সিপির সদস্যরা। সেই ঘটনারই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” যদিও টিএমসিপির শহর সভাপতি রাজা সরকারের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হায়দার আলি বলেন, “আমি বহিষ্কৃত কি না, সেটা জেলা নেতৃত্বরা বলবে। ওঁদের মিছিল হয়েছে দেখেছি, কিন্তু তা নিয়ে কিছু বলব না।” আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন। তার আগে কলেজে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে আশঙ্কায় পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy