Advertisement
E-Paper

মোহনপুরে মারামারি বিজেপি, তৃণমূলের

রাহুল সিংহের সভা সেরে ফেরার পথে বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আবার পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। বুধবার রাতে মোহনপুর ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। জখম দুই বিজেপি কর্মীকে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরস্পরের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেও পুলিশের কাছে কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২৯
মেডিক্যালে জখম বিজেপি সমর্থক।—নিজস্ব চিত্র।

মেডিক্যালে জখম বিজেপি সমর্থক।—নিজস্ব চিত্র।

রাহুল সিংহের সভা সেরে ফেরার পথে বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আবার পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। বুধবার রাতে মোহনপুর ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। জখম দুই বিজেপি কর্মীকে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরস্পরের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেও পুলিশের কাছে কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।

বুধবার রাহুল সিংহের সভার যাওয়ার আগে তৃণমূলের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। বিকেলে মেদিনীপুর থেকে রওনা দেওয়া বিজেপি কর্মীরা রাতে মোহনপুরে পৌঁছনো মাত্রই বাধে গোলমাল। সেখানে ট্রেকার ভাঙচুর করে বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, দলের বলাই হাঁসদা, তাঁর স্ত্রী সামশু হাঁসদা ও বিজেপির ব্লক যুব সভাপতি অভিজিৎ মাইতিকে মারধর করা হয়। আবার তৃণমূলের নালিশ, এই ঘটনার পরেই বিজেপি কর্মীরা গোটসণ্ডা বাজারের কাছে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সন্তোষ মাইতির মোটরবাইক ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। জখমদের প্রথমে বেগুনিয়া ও পরে মোহনপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিজেপির বলাই হাঁসদাকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ দিকে ওই ঘটনার পরেই রাতে শিয়ালসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুরের কাছে ফের বিজেপি কর্মীরা বাস থেকে নামার সময়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেখান থেকে মোটরবাইকে বাড়িতে ফেরার সময়ে পথে তৃণমূল কর্মীরা, বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য বিমল সাতকে হামলা করে বলে অভিযোগ। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের সৌমেন দাস-সহ ছ’জন আমাদের গাড়ি আটকে ভাইপোকে মারে। পরে আমাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে টাঙি দিয়ে আঘাত করে খুনের চেষ্টা করে।”

মেদিনীপুরে রাহুলের সভার অনেক আগে থেকেই বিজেপি সমর্থকদের আটকাতে ব্লকে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো ও হামলার অভিযোগ উঠেছিল। গত ১৬ ডিসেম্বর বুথের বৈঠক সেরে ফেরার পথে প্রহৃত হন এক বিজেপি কর্মী। ১৯ ডিসেম্বর প্রতিবাদে মোহনপুর থানার সামনে জমায়েত করে বিজেপি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ পাত্র অবশ্য বলেন, “বিজেপি কর্মীরা আমাদের দুই নেতার উপর হামলা করেছে। কিন্তু ওঁদের ওপর হামলার অভিযোগ মিথ্যে।” বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “তৃণমূলই আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। আমরা জেলা প্রতিনিধিরা গিয়ে থানায় অভিযোগ জানাব। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার না করলে ধারাবাহিক আন্দোলন হবে।”

kharagpur mohanpur clash tmc bjp
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy