বিজেপি কর্মীর মেয়েকে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করলে তৃণমূলের আরও দু’জন ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। রবিবার সন্ধ্যায় দাঁতনের বরঙ্গী এলাকায় ওই ঘটনার পরে পরিবারটিকে তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।
রবিবার রাতেই ওই বিজেপি কর্মী দাঁতন থানায় তৃণমূলের তিন জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “মেয়েটির বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।”
ঘটনাটি ঠিক কী? মাস দু’য়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে আসা ওই বিজেপি কর্মী জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি উনিশ বছরের মেয়েকে নিয়ে বরঙ্গী বাসস্ট্যান্ডের কাছে হাটে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে একটি দোকানের সামনে মেয়েকে দাঁড় করিয়ে অন্য দোকানে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী মেয়েকে অশালীন মন্তব্য করছে। বিজেপি কর্মীর কথায়, “সৌরভ দাস নামে ওই তৃণমূল কর্মী আমার মেয়েকে কটূক্তি করে। হাত ধরে টানতে যায়। বাধা দিলে রাজনারায়ণ মহাপাত্র ও শরৎ সেনাপতি নামে দুই তৃণমূল কর্মী এসে আমাকে মারে।” রাতে মেয়েকে নিয়ে থানায় গিয়ে সৌরভ, রাজনারায়ণ ও শরতের নামে অভিযোগ জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরঙ্গী এলাকার বাসিন্দা ওই বিজেপি কর্মী কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত। গত বছর ক্যানসারে তাঁর স্ত্রী মারা যান। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ মেয়েকে নিয়েই তাঁর সংসার। ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, দলবদলের পর থেকেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে হেনস্থা করছে। এর পরে সোমবার সকাল থেকে ওই পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই তরুণী বলেন, “আগেও একবার সৌরভ আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল। তারপর হাটে এই কাণ্ড। বাবাকে মারধরও করা হল। পুলিশ ওদের না ধরায় ভয়ে আছি।”
বিজেপির দাঁতন মণ্ডল সভাপতি বিবেকানন্দ বিশ্বাসের কথায়, “সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল। পুলিশ প্রশ্রয় দিচ্ছে।” তৃণমূলের দাঁতন ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধানের অবশ্য দাবি, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।”