Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে জবরদখল হঠাল হলদিয়া পুরসভা

মঞ্জুশ্রী মোড় এলাকায় রাস্তার একটি ধার থেকে অবশেষে জবর দখলকারীদের হঠিয়ে দিল হলদিয়া পুর-কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকালে হলদিয়ার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল-সহ আরও তিন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে ওই উচ্ছেদ অভিযানে ২০ থেকে ২৫টি দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচির জন্য অবশ্য আগে থেকেই হলদিয়া পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার সারা হয়েছিল।

হলদিয়ার মঞ্জুশ্রীতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। —নিজস্ব চিত্র।

হলদিয়ার মঞ্জুশ্রীতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৫
Share: Save:

মঞ্জুশ্রী মোড় এলাকায় রাস্তার একটি ধার থেকে অবশেষে জবর দখলকারীদের হঠিয়ে দিল হলদিয়া পুর-কর্তৃপক্ষ।

রবিবার সকালে হলদিয়ার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল-সহ আরও তিন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে ওই উচ্ছেদ অভিযানে ২০ থেকে ২৫টি দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচির জন্য অবশ্য আগে থেকেই হলদিয়া পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার সারা হয়েছিল। তখন পুর কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি জমি দখল করে রাস্তা ধারে যে সব দোকান বা বাড়ি রয়েছে, তা সরাতে হবে। না হলে পুরসভা সরিয়ে দেবে। সেই মতো এ দিন সকালে মঞ্জুশ্রী মোড়ে পুরসভার কর্মীরা পুলিশের উপস্থতিতে জবর দখলকারীদের হঠাতে অভিযানে নামেন। তবে তার আগেই অবশ্য ব্যবসায়ীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তাঁদের দোকান সরিয়ে নেন। উচ্ছেদ করাকে কেন্দ্র করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা অবশ্য এ দিন ঘটেনি।

দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “পুরসভা আগে থেকেই গ্রিন হলদিয়া, ক্লিন হলদিয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এ দিনের কর্মসূচি তারই অঙ্গ।” তিনি জানান, মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে বাসুদেবপুর পর্যন্ত নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে। বড় ড্রেন করা হবে। সে জন্যই এলাকা দখল মুক্ত করা হয়েছে। পুরপ্রধান আরও জানান, ২০১৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে হলদিয়ার সব ওয়ার্ডে রাস্তার ধার দখল করে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ২৩ তারিখে দূর্গাচক এলাকায় অভিযান চালানো হবে। আগের দিন, ২২ তারিখের মধ্য ওই এলাকা থেকে দোকান সরিয়ে নিতে পুরসভার তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “যাঁদের হঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের জন্য বিকল্প জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”

বাসুদেবপুরের সহদেব বেরা মঞ্জুশ্রী মোড়ে দীর্ঘ দিন ধরে পান ব্যবসা করে আসছেন। এ দিন তিনি বলেন, “পুরসভার নির্দেশ মতো নিজে থেকে দোকান সরিয়ে নিয়েছি।” তবে তিনি চান দ্রুত বিকল্প জায়গার বন্দোবস্ত করা হোক। এই এলাকাতেই ছিল সুশান্ত দাসের কাপড়ের দোকান। নিজে থেকে দোকান সরিয়ে নিয়েছেন তিনিও। তাঁর কথায়, “দোকান চালিয়েই সংসার চলে। দ্রুত বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করুক পুরসভা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

haldia municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE