Advertisement
E-Paper

মলিহাটি পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ চলছেই

জল নিকাশি নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা বজায় থাকল পঞ্চায়েত অফিসে। বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারও ডেববার মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল ১৭টি গ্রামের মানুষ। তাদের অভিযোগ, এলাকায় সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা নেই। তাই বর্ষা এলেই জল জমতে শুরু করে। ক্ষতি হয় চাষের। এ বছর ভারী বৃষ্টি না হলেও নিচু এলাকার বাসিন্দারা হিউম পাইপের (চোঙ) মুখ আটকে দেওয়ায় জল জমছে তুলনায় উঁচু এলাকাতেও। তার জেরেই এই আন্দোলন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪১

জল নিকাশি নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা বজায় থাকল পঞ্চায়েত অফিসে। বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারও ডেববার মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল ১৭টি গ্রামের মানুষ। তাদের অভিযোগ, এলাকায় সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা নেই। তাই বর্ষা এলেই জল জমতে শুরু করে। ক্ষতি হয় চাষের। এ বছর ভারী বৃষ্টি না হলেও নিচু এলাকার বাসিন্দারা হিউম পাইপের (চোঙ) মুখ আটকে দেওয়ায় জল জমছে তুলনায় উঁচু এলাকাতেও। তার জেরেই এই আন্দোলন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁসাই নদী সংলগ্ন ডেবরার মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চকতাতার, মধুবনপুর, চককৃপাল, নরহরিপুর, চক হিরামণি-সহ ১৭টি গ্রামের মানুষ এই সমস্যায় জর্জরিত। প্রশাসনের নানা মহলে জানিয়েও লাভ হয়নি। এ বছরও প্রশাসনের হেলদোল দেখতে না পাওয়ায় বুধবার থেকে বিক্ষোভ-আন্দোলনে সামিল হয়েছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা। মলিহাটি পঞ্চায়েত অফিসে অবস্থানের জেরে প্রধান, উপপ্রধান-সহ পঞ্চায়েতের কর্মীরা অফিসে ঢুকতে পারেননি। বৃহস্পতিবারও বন্ধ ছিল পঞ্চায়েত অফিস। তবু সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মেলেনি। মধুবনপুরের মোহন মণ্ডল, চকতাতারের সুশীলকুমার পাত্ররা বলেন, “আমাদের আন্দোলনের পরেও প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস না পেলে এ ভাবেই অবস্থান চালিয়ে যাবো।”

আন্দোলনের জেরে অফিস বন্ধ থাকায় ফিরে যেতে হয়েছে পঞ্চায়েতে আসা সাধারণ মানুষকে। এ দিন বিডিও অফিসে গিয়ে হাজিরা খাতায় সই করেন পঞ্চায়েতের কর্মীরা। প্রধান কবিতা কুঁইল্যা বলেন, “গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়ে আন্দোলন করছেন। তাই অফিসে যেতে পারছি না।” ওই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুবোধ বেরার বক্তব্য, “এই নায্য আন্দোলনে পাশে আছি। বহুবার বিডিও, বিধায়ককে সমস্যা জানিয়েছি। বিধায়ক আলোচনায় বসে কয়েকটি হিউম পাইপ খোলার কথা বলেছিলেন কিন্তু তা হয়নি।” বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতিকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিডিও জয়ন্ত দাস বলেন, “সামনে কয়েকদিন ছুটি আছে। আশা করছি তার মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।”

molihati panchayat grievance kharagpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy