হলদিয়ার কুকড়াহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রা। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে উঠে অখণ্ডতার বার্তা দিলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে ‘সর্বধর্মসহিষ্ণু’ হিসাবেও তুলে ধরেন তিনি। একদিকে উন্নয়নের খতিয়ান, অন্য দিকে প্রতিশ্রুতির তালিকা দীর্ঘ করে শুভেন্দু বলেন, “অনেক কাজ বাকি আছে। সেগুলি করার জন্য আমাকে ভোট দিন। জেতান।”
শুক্রবার সকাল থেকেই সুতাহাটার কৃষ্ণনগর, আনারনগর ও ঢেকুয়ার সভার পাশাপাশি পদযাত্রাও করেন তিনি। সভাগুলিতে শুভেন্দুর বার্তা, “সিপিএমকে একটিও ভোট দেবেন না। আমরাই একমাত্র সবধর্মকে মর্যাদা দিই। আমাকে সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানে পাবেন।”
প্রচারে সিপিএম প্রার্থী শেখ ইব্রাহিম আলিকেও বিঁধতে ছাড়েননি শুভেন্দু। বামপ্রার্থী ইব্রাহিম সাংসদে যাওয়ার অযোগ্য বলে দাবি করেন তিনি। নিজের রাজনৈতিক জীবনের তথা সংগ্রামের সঙ্গে ইব্রাহিমের তুলনা টেনে তিনি বলেন, “আমি পুরসভার কাউন্সিলর, পুরপ্রধান ও বিধায়ক হওয়ার পর সাংসদ হয়েছি। ফলে আমার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আর সিপিএম প্রার্থী পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে ক’মাস আগে জিতে কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই লোকসভার প্রার্থী হয়েছেন। লোকসভায় যাওয়ার কোনও যোগ্যতাই তাঁর নেই।” তাঁর কটাক্ষ, “সিপিএমের বড় দাগিরা কেউ জেলে, কেউ পালিয়েছেন। কেউ পার্টি ছাড়া, তো কেউ ৩৪ বছরের অপশাসনে, নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে মুখ পুড়িয়েছেন। তার উপর নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছে। তাই যোগ্য প্রার্থীই খুঁজে পায়নি সিপিএম।”
এ দিন, কুকড়াহাটিতে হুগলি নদীর উপরে বার্জ পরিষেবার আশ্বাসও দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “৪০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ, বিধায়ক ও সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হবে। পদ্ধতিগত কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়ে এসেই এই কাজ আমি করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy