Advertisement
E-Paper

সেতু পাচ্ছে কলমিজোড়, আজ শিলান্যাসে মুখ্যমন্ত্রী

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দাসপুরের কলমিজোড়ে কংসাবতীর উপর নতুন কংক্রিটের সেতুর কাজের শিলান্যাস হবে আজ, সোমবার। পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকে এক প্রশাসনিক সভা থেকে এ দিন সেতুর কাজের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলমিজোড়ে এ জন্য সোমবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় সচিব শঙ্কর দোলই, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া-সহ অনেকের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:২৪
এখানেই হবে সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

এখানেই হবে সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দাসপুরের কলমিজোড়ে কংসাবতীর উপর নতুন কংক্রিটের সেতুর কাজের শিলান্যাস হবে আজ, সোমবার। পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকে এক প্রশাসনিক সভা থেকে এ দিন সেতুর কাজের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলমিজোড়ে এ জন্য সোমবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় সচিব শঙ্কর দোলই, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া-সহ অনেকের।

দাসপুরের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী। নদী পারাপারের জন্য বর্তমানে দাসপুরের মানুষের একমাত্র ভরসা কংসাবতীর অস্থায়ী সেতু। ফি বছর বর্ষাকালে জলের তোড়ে সেতু ভেসে যায়। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দাসপুর ও ঘাটালের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সমস্যায় পড়েন নদীর দু’পারের ঘাটাল মহকুমার দাসপুর ১ ও ২-সহ ডেবরা থানার বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কংসাবতীর উপর সেতু তৈরির দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকলেই সামিল হন। সেতুর দাবিতে বিভিন্ন সময় ভোট বয়কট, ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক অবরোধ, পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস ঘেরাও, জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান সবই হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দাবি পূরণ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েই গিয়েছিল। ২০১১ ও ২০১২-পরপর দু’বছরে বন্যায় কলমিজোড়ের কাছে নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেচ দফতরের আধিকারিক ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। টনক নড়ে প্রশাসনের।

নদীতে পাকা সেতু না থাকায় রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যায় পড়েন রোগীর পরিজনেরা। বর্ষার একবুক জল ঠেলেই সব্জির বস্তা নিয়ে বাজারের পথে ছুটতে হত স্থানীয় চাষিদের। অস্থায়ী সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচলও নিষিদ্ধ। কলমিজোড় থেকে এই সেতু পেরলেই সহজে ডেবরায় পৌঁছনো যায়। সমস্যার সমাধানে কংসাবতীতে পাকা সেতুর দাবিতে সরব হন এলাকার বাসিন্দারা।

দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে সেতুর শিলান্যাসের খবরে খুশি ঘাটাল মহকুমার কলমিজোড়, সলামপুর, তাতারপুর, কাদলিপুর, ফকিরবাজার, কাঁকদাড়ি, কিশোরপুর-সহ প্রায় শতাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। কলমিজোড়ের সুজিত দত্ত, সালামপুরের চিত্ত বাড় বলেন, “সেতুর জন্য আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি। অবশেষে পাকা সেতু হলে সব সমস্যার সমাধান হবে।” তাঁদের আশা, বর্ষাকালে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। কেউ অসুস্থ হলে গ্রামে গাড়ি ঢুকতে পারবে।”

সেচ দফতর সূত্রে খবর, দীর্ঘ ১৩৫ মিটার লম্বা দুই লেন বিশিষ্ট সেতুর জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ১০ মিটার চওড়া ওই সেতুর দু’পাশে সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য জমি কেনার কাজও হয়েছে। সেচ দফতরের জেলার নির্বাহী বাস্তুকার সুব্রত মজুমদার বলেন, “দু’বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। সোমবার সরকারি ভাবে সেতুর কাজের শিল্যানাসের পরই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

ghatal kalmijor bridge foundation stone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy