স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সবংয়ের বাসুলিয়া গ্রামে। মৃতার নাম সুমিত্রা দাস (২৮)। বাসুলিয়ার তাঁর বাড়ি। সেখান থেকেই দেহ মেলে ওই যুবতীর। তাঁর স্বামী গৌতম দাস সাংসারিক অশান্তির জেরেই সুমিত্রাকে শ্বাসরোধ করে মেরেছে বলে পুলিশে অভিযোগ জানান মৃতার ভাই অদ্বৈতচরণ মাইতি। রবিবার ভোরে গৌতমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুমিত্রার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে পিংলার নুনগোদার যুবক গৌতমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুমিত্রার। সেই সময় গৌতমের একটি দোকান ছিল। কিন্তু বিয়ের মাস তিনেকের মধ্যেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়ে যায়। সুমিত্রার বাপের বাড়ির ভিযোগ, মদ্যপান শুরু করেন গৌতম। সেই সঙ্গে মেয়ের উপর চলতে থাকে অত্যাচার। বছর খানেক পরে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সুমিত্রা। তারপরেও অশান্তি কমেনি। কয়েকবছর আগে সুমিত্রার ৩ ভরির সোনার গয়না বন্ধক দিয়ে গৌতম টাকা নেন বলে অভিযোগ। সে কথা জেনে সুমিত্রার বাবা নিরঞ্জন মাইতি ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে গয়না ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। সুমিত্রার ভাই অদ্বৈতচরণ এ দিন বলেন, “দিদির উপর বিয়ের পর থেকে অত্যাচার চলত। আমরা অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু জামাইবাবু মদ্যপান ছাড়েননি।
দিদিকে মারধর করাও থামাননি। আমারা সকলে নিশ্চিত দিদিকে খুন করেছে জামাইবাবু।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন সুমিত্রা। বাপের বাড়ির লোকজন আলোচনার মাধ্যমে ফের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে গেলে সুমিত্রা বলেন, গৌতমকে এসে তাঁকে নিয়ে যেতে হবে। শনিবার বিকেলে গৌতমকে বাড়িতে নিয়ে আসেন অদ্বৈতচরণ। রাতে অদ্বৈতকে টিভি বন্ধ করে দিয়ে যেতে বলেন গৌতম।
তখনই ঘরে ঢুকে সুমিত্রাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন বলে অদ্বৈত জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “জামাইবাবু বাড়িতে আসার সময় আমাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বলাইপণ্ডার কাছে একটি মদের দোকানে ঢুকেছিল।” রবিবার বিকেল পর্যন্ত সুমিত্রার শ্বশুরবাড়ির কেউ যোগযোগ করেনি বলেও দাবি মৃতার ভাইয়ের। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে সবং থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy