Advertisement
E-Paper

হুকিং বন্ধে গ্রামে গিয়ে প্রহৃত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা

হুকিং বন্ধ করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে প্রহৃত হলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার দুপুরে চন্দ্রকোনা রোড ব্লকের শঙ্করকাঁটা পঞ্চায়েতের করমশোল গ্রামের ওই ঘটনায় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে গড়বেতায় থানায় অভিযোগ করেছেন স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজার গোলক সামন্ত। মারধরে আহত বিদ্যুৎ দফতরের পাঁচ কর্মী দ্বাড়িগেড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৬
ভাঙচুর করা হল গাড়িও।—নিজস্ব চিত্র।

ভাঙচুর করা হল গাড়িও।—নিজস্ব চিত্র।

হুকিং বন্ধ করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে প্রহৃত হলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার দুপুরে চন্দ্রকোনা রোড ব্লকের শঙ্করকাঁটা পঞ্চায়েতের করমশোল গ্রামের ওই ঘটনায় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে গড়বেতায় থানায় অভিযোগ করেছেন স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজার গোলক সামন্ত। মারধরে আহত বিদ্যুৎ দফতরের পাঁচ কর্মী দ্বাড়িগেড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পেয়েই গ্রামে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে গ্রামে গিয়ে কোনও পুরুষকে পাওয়া যায়নি। চন্দ্রকোনা রোড বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্টেশন ম্যানেজার গোলক সামন্তের অভিযোগ, “আমরা বিদ্যুৎ চুরির খবর পেয়েই ওই গ্রামে অভিযানে গিয়েছিলাম। হুকিং করে নেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় গ্রামবাসীরা দফতরের কর্মীদের উপর চড়াও হয়।”

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই করমশোল গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বিদ্যুৎ চুরি করে স্যালো চালিয়ে চাষের কাজ করছিলেন। এই মর্মে অভিযোগ পাওয়ার পর দফতরের কর্মীরা গ্রামে গিয়ে সরকারি নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু তাতেও বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করা যায়নি। এ দিন দুপুর একটা নাগাদ গোলকবাবুর নেতৃত্বে ১২জনের একটি দল গ্রামে অভিযানে যান। কর্মীরা গিয়ে দেখেন, বিদ্যুৎ চুরি করে দিব্যি স্যালো চালানো হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের দেখেই চাষের খেত ছেড়ে সকলে পালায়। তখন ওই কর্মীরা বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে তার খুলে সমস্ত তার বাজেয়াপ্ত করেন। ফেরার পথে ওই গ্রামের আরও দু’টি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তাঁরা।

গ্রাম থেকে বেরনোর পথে কয়েকজন গ্রামবাসী তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ। গোলকবাবুর অভিযোগ, “আমরা গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করি, বিদ্যুৎ চুরি করলে আর্থিক জরিমানা ও থানায় মামলা করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও মামলা করা হবে না।” তিনি বলেন, “নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ সংয়োগ নেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের কাছে এ দিন ফের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেই কথা না শুনে গ্রামবাসীরা আমাদের উপর চড়াও হয়।”

electricity department staff beaten power theft chandrakona road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy