Advertisement
E-Paper

ট্রলি থেকে পড়ে মৃত্যু কাণ্ডে গৌতমকে নালিশ পরিবারের

বাড়ির লোকের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসা পরিষেবা না-দিয়ে দেড় ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়েছিল অলোকবাবুকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০২
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ট্রলি হুইলচেয়ার অপ্রতুল তার জেরে এভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী ও তার পরিজনদের। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র

উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ট্রলি হুইলচেয়ার অপ্রতুল তার জেরে এভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী ও তার পরিজনদের। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভাঙা ট্রলি থেকে পড়ে মৃত মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অফিস সচিব অলোক কুণ্ডুর বাড়িতে গেলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। শুক্রবার হাকিমপাড়ায় অলোকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। সেদিনের গোটা ঘটনার কথা তাঁকে জানান, অলোকের স্ত্রী স্বপ্না ও পরিবারের বাকি লোকেরা।

বাড়ির লোকের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসা পরিষেবা না-দিয়ে দেড় ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়েছিল অলোকবাবুকে। জুনিয়র চিকিৎসকদের বারবার বলা হলেও তাঁরা গুরুত্ব দিতে চাননি বলে দাবি। মহকুমাশাসক বারবার ফোন করে জানালেও কাজ হয়নি। উল্টে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন বাড়ির লোকেরা। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যের। রোগীর পরিবার জানিয়েছে দেড় ঘণ্টা ধরে সঠিক চিকিৎসা হয়নি। ট্রলি নিয়ে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে কথা বলব।’’

জুনিয়র চিকিৎসকরা অবশ্য দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে সৌম্যদীপ রায় বলেন, ‘‘দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ঠিক নয। আমি নিজেও সেখানে কিছুক্ষণ ছিলাম। রোগীর আত্মীয়দের বারবার ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা রোগীকে ভর্তি করাবেন কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলেন।’’ জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানান, রোগীকে আইসিইউ’তে নেওয়ার দরকার ছিল। তবে সেখানে শয্যা না মিললে ওয়ার্ডে সাধারণ শয্যাতে রেখেই চিকিৎসা চলবে বলে জানানো হয়। তারপরেই ট্রলি থেকে পড়ে যাওয়ার দুর্ঘটনাটি ঘটে। হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। রিপোর্ট পেলেই তা পরিষ্কার বোঝা যাবে।’’

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অলোকের কিডনি, যকৃতের অসুখ ছিল, খাদ্যনালিতে সংক্রমণ ছিল। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পরিবার। সেখান থেকে রেফার করে দিলে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে যান তাঁরা। জরুরি বিভাগে একটি ট্রলির উপর তাঁকে রাখা হয়েছিল। অলোকবাবুর স্ত্রী স্বপ্না এবং দাদা অশোক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে কথা বলার জন্য চিকিৎসকেরা বাড়ির লোকেদের ডাকলে তাঁরা ট্রলি ছেড়ে কথা বলতে যান। সেই সময়ের মধ্যেই বিপত্তি ঘটে। একটি চাকা ভাঙা থাকায় ট্রলি কাত হয়ে পড়ে যান অলোক। মাথায় চোট পান।

NBMC Goutam Deb Trolley
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy