Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Sujit Basu

সিবিআই তলব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে, বললেন সুজিত, চিঠি পেলে নিজামে হাজিরা দেবেন কি

সিবিআইয়ের তলব প্রসঙ্গে সুজিত বসু জানালেন, তিনি এখনও চিঠি পাননি। পেলে অবশ্যই জানাবেন। তবে তাঁকে জানানোর আগে সংবাদমাধ্যমে কী ভাবে খবর প্রকাশ পেল, প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী।

image of sujit basu

সুজিত বসু। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৩ ১৫:০২
Share: Save:

এখনও সিবিআইয়ের তলব-চিঠি পাননি। পেলে অবশ্যই যাবেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তলব নিয়ে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, আগামী ৩১ অগস্ট সুজিতকে তলব করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীর প্রশ্ন, যাঁকে ডাকা হবে, তিনি জানার আগে সংবাদমাধ্যম কী ভাবে জানছে? এ সবের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে দাবি করেন সুজিত।

সিবিআইয়ের ওই সূত্রটির দাবি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সূত্রেই সুজিতকে তলব করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুজিত বলেন, ‘‘আমি এখনও কোনও সিবিআইয়ের চিঠি পাইনি। পেলে অবশ্যই যাব। সংবাদমাধ্যম মারফত জেনেছি বিষয়টি। কী কারণে ডাকা হচ্ছে, দেখব। আগ বাড়িয়ে কিছু করতে যাব না। তবে যাঁকে ডাকা হবে, তাঁকে না-জানিয়ে সংবাদমাধ্যম জানছে কী ভাবে?’’ সুজিত জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করতে তিনি রাজি। তবে কী অভিযোগে তাঁকে তলব করা হয়েছে, সে কথা জানেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে আমি রাজি। একটি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। তবে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জানি না। সবই সংবাদমাধ্যমে জেনেছি।’’ এই তলবের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দেখছেন বলেও জানিয়েছেন সুজিত। তিনি বলেন, ‘‘৩১ অগস্ট ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিন আমাকে ডাকা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে শুনলাম। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে। ষড়যন্ত্র তো চলছেই।’’

সম্প্রতি পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই নথির সূত্রেই সুজিতকে তলব। ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত। সেই সময় পুর নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই। তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আগামী ৩১ অগস্ট সকাল ১১টায় সুজিতকে নিজ়াম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ নিয়োগ মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ইডির তরফে দাবি করা হয়, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরির পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে এ-ও জানা যায়, জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এর পরেই আতশকাচের তলায় আসে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি। পুর নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তের ভার সিবিআইকে দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালত রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয়। বহাল থাকে পুর নিয়োগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sujit Basu TMC CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE