বাসটা তখন সবে ছেড়েছে। ছুটে গিয়ে বাড়ি ফেরার বাসটা পেয়ে গিয়েছিলেন বসিরহাটের শ্যামল বিশ্বাস। রাতও অনেকটা হয়েছিল। বর্ষার দিন হওয়ার রাত ৯.৩০টায় বাস প্রায় ফাঁকাই হয়ে গিয়েছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর টনক নড়ে তাঁর। আশপাশের লোকজনদের খুব সুবিধার মনে হচ্ছিল না। কাছের ব্যাগটা দু’হাতে শক্ত করে ধরেন। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হল না। অস্ত্র দেখিয়ে জোরজবরদস্তি তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে সেই ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী। ওই বাসেই তারা ছিল।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে এয়ারপোর্ট থানা এলাকার সুকান্তনগরের কাছে। পরে তিন দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বসিরহাটের বাসিন্দা শ্যামলবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে প্রায়ই তাঁকে বেলগাছিয়ায় আসতে হয়। এ দিনও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে, এ দিন ব্যবসার কাজের নগদ ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তিনি বেলগাছিয়া থেকে বসিরহাটগামী একটি বাসে উঠেছিলেন। রাত হয়ে যাওয়ায় বাসটি অন্য দিনের তুলনায় ফাঁকাই ছিল। বাসে তাঁর সামনে কয়েক জন যুবক বসে ছিল। তারা বার বার তাঁর দিকে লক্ষ রাখছিল।
আরও পড়ুন: টাকায় টান, লাগাম তাই বরাদ্দের আর্জিতে
শ্যামলবাবু পুলিশকে জানান, সুকান্তনগরের কাছে পৌঁছলে বাসটি আরও একটু ফাঁকা হয়ে যায়। তখনই তারা তাকে জোরজবরদস্তি বাস থেকে নামিয়ে নেয়। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তার পর ব্যাগ ছিনিয়ে চম্পট দেয়। শ্যামলবাবুও সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন। কাছেই পুলিশের একটি টহল ভ্যান ছিল। শ্যামলবাবুর মুখে ঘটনা শুনে পিছু ধাওয়া করে তিন জন দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে তারা। বাকিরা পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে টাকার ব্যাগটিও উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে পুরো টাকা রয়েছে কি না তা দেখছে পুলিশ। তিন দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি এবং একটি ভোজালিও উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।