নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তথ্যগত ত্রুটির জেরে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর আতঙ্কে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম বরকত শেখ (৩২)। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ কালিয়াচক বিডিও অফিসের বাইরে তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিডিও অফিস চত্বর ও হাসপাতাল এলাকায় চরম উত্তেজনা তৈরি হয়।
বরকতের বাড়ি কালিয়াচকের চকসেহেরদি গ্রামে। বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক চন্দনা সরকার এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বরকতের বাবার নাম রশুল শেখের পরিবর্তে শুধু শেখ লেখা ছিল। এই তথ্যগত ত্রুটি বরকতকে মারাত্মক উদ্বেগে ফেলে দেয়।
জানা গিয়েছে, এই ত্রুটি দেখতে পেয়েই শুক্রবার বরকত দ্রুত বিডিও অফিসে ছুটে যান। কিন্তু সেখানেও তিনি কোনও সদুত্তর পাননি। তাঁর নাম সংশোধন হবে বা তালিকায় উঠবে— এমন কোনও নিশ্চয়তাও তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত আতঙ্কিত হয়ে তিনি বিডিও অফিসের বাইরে আসতেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক চন্দনা সরকার। নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। পাল্টা তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপি নেতৃত্বের।
প্রসঙ্গত, বাংলায় এসআইআর চালু হয়েছে গত ২৮ অক্টোবর। প্রথম দিনেই আত্মহত্যা করেন প্রদীপ কর নামে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা। গণনাপত্রের (এনুমারেশন ফর্ম) পূরণ এবং জমা নেওয়ার প্রক্রিয়ার চলাকালীন ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি। সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক আত্মহত্যা করেছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং ব্রেন স্ট্রোকে।