Advertisement
E-Paper

জামাইবাবুর নিখোঁজ ডায়েরির সাত দিন পর মিলল শ্যালিকার দেহ, প্রেমিকেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু! খড়্গপুরে বিষ-রহস্য

খোঁজ মিলছিল না বছর ষোলোর শ্যালিকার। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন জামাইবাবু। তার সাত দিন পর সেই শ্যালিকার দেহ মিলল হাসপাতালে। সঙ্গে মিলল তার প্রেমিকেরও দেহ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:২৫

—প্রতীকী চিত্র।

খোঁজ মিলছিল না বছর ষোলোর শ্যালিকার। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন জামাইবাবু। তার সাত দিন পর সেই শ্যালিকার দেহ মিলল হাসপাতালে। সঙ্গে মিলল তার প্রেমিকেরও দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারল, প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে বিষ খেয়ে।

পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়্গপুর মহকুমার অন্তর্গত সবংয়ের ঘটনা। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। আর প্রেমিকের দেহ পাঠানো হয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ অক্টোবর বিকেলে নাবালিকার জামাইবাবু সবং থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ নাবালিকার এক প্রেমিকের খোঁজ পায়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ২২ বছরের ওই যুবকের সঙ্গেই পালিয়েছিল নাবালিকা। প্রেমিকের প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর মেলে, কয়েক দিন আগে দু’জনেই বিষ খেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এর পর তাঁদের প্রথমে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয় নাবালিকাকে। যুবকের পরিবার তাঁকে জেলার অন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় যুবককে। এর পর পরিবার তাঁকে আবার সবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, নাবালিকার মৃত্যু হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দু’জনের দেহেরই ময়নাতদন্ত হবে। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রেমিক-প্রেমিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের লোকেদের।

Kharagpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy