স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার আগে মোবাইল নিয়ে বসে থাকায় বকাবকি করেছিলেন মা। তার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় চন্দননগরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। সোমবার রাত পর্যন্ত ওই নাবালিকার সন্ধান মেলেনি। মঙ্গলবার সকালে অবশেষে তার খোঁজ মিলল নদিয়ার মায়াপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেন ধরে মায়াপুরে চলে গিয়েছিল কৌশানী। বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল ৭০০ টাকা আর গোপালের একটি ছবি। সেগুলি তার কাছে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে ঘোরাঘুরি করছিল সে। তাকে দেখে সন্দেহ হয় সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের। কৌশানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গোটা ঘটনা খুলে বলে সে। তার পর ভিডিয়ো কলে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে কৌশানী। তার পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে আনতে ইতিমধ্যেই মায়াপুর রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দননগর শহরের ছবিঘর এলাকার বাসিন্দা কনক ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে কৌশানী। তারা দুই ভাই-বোন। চন্দননগর সেন্ট জোসেফ কনভেন্টের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কৌশানী। সোমবার স্কুলে না যাওয়ায় বাড়িতেই ছিল সে। ইন্দ্রাণীর অভিযোগ, স্কুলে না গিয়ে তাঁর মেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ঘাঁটছিল। তা দেখে তিনি বকাবকি করেন। সামনে পরীক্ষা, পড়াশোনা না করে মোবাইল ঘাঁটছে দেখে তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন মা। এর পরে মা ঘুমিয়ে পড়লে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই ছাত্রী। যাওয়ার আগে মা যে ঘরে শুয়েছিলেন, সেই ঘর বাইরে থেকে আটকে দিয়ে যায়। চন্দননগর শহরের সর্বত্র খোঁজখবর করেও রাত পর্যন্ত কৌশানীর সন্ধান মেলেনি। এর পর কনক তাঁর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অপহরণের মামলা রুজুর পরে তদন্ত শুরু করে।