E-Paper

মুখ্যমন্ত্রী হলে ছ’মাসে ‘বদলে’ দেবেন মিঠুন

প্রথমে সিপিএম-ঘনিষ্ঠতার পরে মিঠুন তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভার সদস্য পর্যন্ত হয়েছিলেন। সারদা-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পরে তিনি রাজ্যসভার পদ ছাড়েন। বেশ কিছু দিন রাজনীতি থেকে সরে ছিলেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ০৫:৫৯
Mithun Chakraborty

‘ছ’মাসের মুখ্যমন্ত্রী’ হতে চান মিঠুন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।

‘এক দিনের রাজা’ হওয়ার মতো ‘ছ’মাসের মুখ্যমন্ত্রী’ হতে চান মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, “ছ’মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করলে আমি রাজ্যটাকে বদলে দেব!”

এই নিয়ে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “মনের আসল ইচ্ছেটা বেড়িয়ে পড়েছে। চিরকাল সুযোগসন্ধানী। প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরে রাজ্যসভায় গেলেন। তার পরে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ধরে পদ্মশ্রীর সুপারিশ। এখন মুখ্যমন্ত্রী হতে দলবদল করে বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু উনি(মিঠুন চক্রবর্তী) যদি এমএলএ ফাটাকেষ্ট, মিনিস্টার ফাটাকেষ্টর পর চিফ মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট বানান, তবেই একমাত্র তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে! বাস্তবে হওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই।’’

প্রথমে সিপিএম-ঘনিষ্ঠতার পরে মিঠুন তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভার সদস্য পর্যন্ত হয়েছিলেন। সারদা-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পরে তিনি রাজ্যসভার পদ ছাড়েন। বেশ কিছু দিন রাজনীতি থেকে সরে ছিলেন তিনি। আবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে তাঁর আগমন হয়। তাঁর দাবি ছিল, ‘‘আমি হেলে, কেউটে নয়, জাত গোখরো!’’ সেই সময়ে মিঠুনকে সামনে রেখে বিজেপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও বিস্তর চর্চা হয়েছে। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিজেপি পর্যদুস্ত হওয়ার পরে আবার কিছু দিন রাজনীতির অঙ্গনে মিঠুনকে দেখা যেত না। সম্প্রতি বিজেপি নেতা হিসেবে ফের সক্রিয় হয়ে তিনি দলের জাতীয় কর্মসমিতি এবং রাজ্য কোর কমিটির সদস্য হয়েছেন। মাঝে মাঝেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁকে কথা বলতে শোনা যায়।

আরএসএসের ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার বিধাননগরে পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন মিঠুন। সেখানে তাঁর আরও বক্তব্য, “ইতিহাস বলছে, কোনও প্রজন্মকে শেষ করতে প্রথম আঘাত আসে শিক্ষার উপরে। কিন্তু আজ নিজের রাজ্যকে যখন দেখি, তখন হতাশ লাগে!” এর পরেই তাঁর আক্রমণ, “রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। এই মুহূর্তে এই রাজ্যের কিছু হবে না।” পাল্টা কুণাল বলেন, “উনি (মিঠুন চক্রবর্তী) সরদার সুবিধাভোগী। অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। গ্রেফতার হওয়া থেকে বাঁচতে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। এখন বিজেপির পুতুল হয়ে এই সব বলছেন। ”

কুস্তিগীরদের আন্দোলন নিয়ে দেশে যে তোলপাড় চলছে, সে বিষয়ে অবশ্য মিঠুন কিছু ‘জানেন না’। তাঁর বক্তব্য, “আন্দোলন হচ্ছে জানি। কিন্তু এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mithun Chakraborty BJP TMC Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy