কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলবে। তবে সেই সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরমও। আগামী সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত বর্ষা ঢুকে পড়ে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। এ বছর তাতে বেশ খানিকটা দেরি হচ্ছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। একই পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলতে পারে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম এবং দুই বর্ধমানেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:
উত্তরবঙ্গে সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। সেখানে বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (১২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। কোচবিহারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। দুর্যোগ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ তারিখের পর বর্ষার বাতাসের অগ্রগতি হবে। দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ুর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মৌসুমি অক্ষরেখা রয়েছে মুম্বই থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব-রাজস্থান সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। আগামী দু’দিনে ওড়িশার কিছু অংশ এবং আগামী তিন দিনের মধ্যে ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করতে পারে। বঙ্গোপসাগর থেকে আপাতত প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তাই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে ঝড়বৃষ্টি চলবে।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা প্রায় স্বাভাবিক। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু’দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। তার পরের তিন দিনে তাপমাত্রা কমতে পারে দুই থেকে চার ডিগ্রি।