Advertisement
E-Paper

জোড়া ঝঞ্ঝারই পথ চেয়ে শীত

ক্যালেন্ডারে ভরা-পৌষ। কিন্তু হাড়কাঁপানো শীত তো দূরের কথা, রাতের পারদ চলতি সময়ের স্বাভাবিকের কোঠাতেও নামছে না! বিশ্রী আবহাওয়ায় বাড়ছে নানা ধরনের রোগব্যাধি। বাংলার শীতপ্রত্যাশীদের প্রশ্ন, উত্তুরে হাওয়া কি এ বার মুখ ফিরিয়েই থাকবে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২১

ক্যালেন্ডারে ভরা-পৌষ। কিন্তু হাড়কাঁপানো শীত তো দূরের কথা, রাতের পারদ চলতি সময়ের স্বাভাবিকের কোঠাতেও নামছে না! বিশ্রী আবহাওয়ায় বাড়ছে নানা ধরনের রোগব্যাধি। বাংলার শীতপ্রত্যাশীদের প্রশ্ন, উত্তুরে হাওয়া কি এ বার মুখ ফিরিয়েই থাকবে?

সদুত্তর নেই আবহবিদদের কাছেও। কেননা শীতের পথে কাঁটা ছড়ায় পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। আবার শীতের দরজাও খোলে সেই ঝঞ্ঝাই। মৌসম ভবনের খবর, এই মুহূর্তে একটি ঝঞ্ঝা রয়েছে পাকিস্তানের উপরে। সেটি আজ, বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে ঢুকবে। তার পিছু পিছু আরও একটি ঝঞ্ঝা কাল, শুক্রবার নাগাদ এ দেশে ঢুকতে পারে। তার জেরে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়তে পারে উত্তর ভারতে। সেই সব ঝঞ্ঝা সরে গেলে ফের বইতে পারে উত্তুরে হাওয়া। আবহবিদদের মতে, ওই দু’টি ঝঞ্ঝার মতিগতির উপরেই নির্ভর করছে বাংলার শীতভাগ্য।

দেশ জুড়ে হাওয়ার মতিগতি খতিয়ে দেখে মৌসম ভবনের সূত্র জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই উত্তুরে হাওয়ার পথে ফের বাধা পড়তে চলেছে। যার জন্য দায়ী ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা, ভারী হাওয়া (পশ্চিমি ঝঞ্ঝা)। ওই ঝঞ্ঝা পাকিস্তান হয়ে কাশ্মীরে পৌঁছয়। তার জেরে ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়। তুষারপাত হয়। ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে কনকনে ঠান্ডা পড়ে। উত্তুরে হাওয়া সেই ঠান্ডা বয়ে আনে পূর্ব ভারতে। কিন্তু ঝঞ্ঝার আবির্ভাব পর্বে উত্তর ভারতের হাওয়া আটকে যায়। তখন শীতের পথে কাঁটা ছড়ানোর ভূমিকা নেয় ঝঞ্ঝা। আবার সে সরে গেলেই উত্তুরে হাওয়ার পথ খোলে। এখন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এলে উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে পারদ চড়তে পারে বাংলার।

আবহবিদদের অনেকেই আশা করছিলেন, বিহারের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃষ্টি হলে পারদ নামবে। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও আমজনতার আশা মেটেনি। তিরতিরে উত্তুরে হাওয়া রয়েছে বটে। কিন্তু কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি।

ঘূর্ণাবর্ত অনেকটাই দুর্বল হয়ে যাওয়ায় বুধবার ভোরের দিকে অল্প অল্প উত্তুরে হাওয়া ঢুকছিল। কিন্তু পরে আবার তার জায়গা দখল করে নেয় দখিনা বাতাস। আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস অবশ্য বলছেন, ‘‘উত্তুরে হাওয়া ঢোকার পথ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। শুক্র-শনিবার নাগাদ রাতের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে।’’ তবে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের পরশ কবে পাওয়া যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারছেন না আবহবিদেরা।

West Bengal Winter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy