অসাবধানতাবশত বাড়িতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কলেজপড়ুয়া তরতাজা ছেলের। ময়নাতদন্তের পর রাতে তাঁর দেহ ফেরে বাড়িতে। তা দেখার পরেই তিনতলা থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মঘাতী হলেন মা।
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট বিট হাউস থানার রাইন গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম মানসী বৈদ্য। রবিবার তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৮ নভেম্বর শনিবার দুপুরে বাড়িতে পড়ে গিয়ে ছেলে শুভাদ্রি বৈদ্যের (২১) সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোলাঘাটের পাইকপাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার রাতে ছেলের দেহটি ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি মানসী। সকলের অগোচরে বাড়ির তিনতলায় গিয়ে ঝাঁপ দেন তিনি। জোরালো আওয়াজ বাড়ির সকলে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, মানসী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে কোলাঘাটের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কিছু ক্ষণ পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ছেলে এবং স্ত্রীকে হারিয়ে শোকগ্রস্ত রমেশ বৈদ্য। তিনি তমলুকের ডিইবি (ডিসট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো)-তে কর্মরত। রবিবার ময়নাতদন্তের পর মানসীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।