বিশ্বভারতীতে এল নাকের প্রতিনিিধ দল। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণের জন্য শান্তিনিকেতনে এসে পৌঁছলেন ‘নাক’-এর পরিদর্শনকারী দলের সদস্যেরা। মঙ্গলবার তাঁরা বিশ্বভারতীতে এসেছেন। বুধবার থেকেই শুরু হবে পরিদর্শন।
পরিদর্শনের আগে থেকেই বিশ্বভারতীর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক)-এর দলের পরিদর্শন ঘিরে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীতে। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীয় সমস্ত বিভাগের ঘরে রং করা থেকে শুরু করে পরিষ্কার করা— সমস্ত কাজ প্রায় শেষের মুখে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে লাগানো হচ্ছে হোর্ডিংও।সূত্রের খবর, ‘নাক’-এর টিম যে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করবেন, তার ৫০ শতাংশ মান নির্ধারণ করবেন তারা। বাকিটা নির্ধারণ করবেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মূলত সে কারণেই বিশ্বভারতীর তরফে জোর দেওয়া হচ্ছে সংগীত ভবন, রবীন্দ্র ভবন, এনসিসি-সহ বেশ কয়েকটি হস্টেলের মান বাড়ানোর উপর।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছনোর পর রতন কুঠিরে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ‘নাক’-এর সদস্যদের। পাশাপাশি, এই প্রতিনিধিদলের জন্য বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৫ সালে শান্তিনিকেতন প্রদর্শন করেছিল ‘নাক’-এর প্রতিনিধিদল। সে বার তাদের মান অনুযায়ী ‘বি’ গ্রেড পেয়েছিল বিশ্বভারতী। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। প্রসঙ্গত, ‘নাক’-এর নির্ধারিত মানের উপরেই নির্ভর করে আর্থিক সাহায্য পায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সে কারণে এর আগে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বিশ্বভারতীকে।এ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান বাড়াতে নিজেদের প্রচেষ্টায় কোনও রকম খামতি রাখতে চান না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy