E-Paper

বাংলা দিবসে ভিন্ন সুর নবান্ন এবং রাজভবনের

সাহিত্যিক আবুল বাশার এ দিন পয়লা বৈশাখের এবং বঙ্গাব্দের তাৎপর্যও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, আকবরের সময় থেকেই পয়লা বৈশাখের পরিচিতি বাড়তে থাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৪৬
(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

বাঙালির নববর্ষ, নেপালি নববর্ষ, অম্বেডকর জয়ন্তীর সঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবসেরও ‘শুভনন্দন’ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর পয়লা বৈশাখের বার্তায় বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বাংলার দুর্নীতিকে শেষ করার শপথ নিলেন। রাজ্য সরকার পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবসের ডাক দিলেও রাজভবন তাতে গলা মেলাল না।

রবিবার বিকেলে রাজ্য সরকারের পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন উপলক্ষে রবীন্দ্র সদন-নন্দন চত্বর এ দিন বাংলার বিভিন্ন লোকনৃত্য, সাঁওতালদের কর্মা নাচ, ছৌ, রনপা নাচের দলবল, বাউল গানের শিল্পীদের ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে। আদর্শ নির্বাচনী বিধি মেনে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ছিলেন না। মঞ্চে তাঁর ছবি বা নাম কিছুই ছিল না। শুধু লেখা ছিল, ‘এই দিনটি রাজ্যের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতিকে প্রকাশ করে এবং সৌভ্রাত্রের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে’। তবে মুখ্যমন্ত্রী না-থাকলেও এই দিনটিকে বাংলা দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্তের জন্য কবি শ্রীজাত এ দিন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিভিন্ন শিল্পীরা নাচ, গান, আবৃত্তি করেন।

সাহিত্যিক আবুল বাশার এ দিন পয়লা বৈশাখের এবং বঙ্গাব্দের তাৎপর্যও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, আকবরের সময় থেকেই পয়লা বৈশাখের পরিচিতি বাড়তে থাকে। বছরের এই সময়টিই আকবর বাংলার মানুষের কর দেওয়ার সময় বলে ঠিক করেছিলেন। রাজ্যের মুখ্য সচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

একই দিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দের নামে বাংলায় দুর্নীতি শেষ করার ডাক দেন বোস। ভিডিয়ো-বার্তায় বাংলায় বলেন, “মা দুর্গা যে ভাবে রক্তবীজের শেষ করেছিলেন, ঠিক সে ভাবে রাজ্যের দুর্নীতিকে শেষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারতের স্বপ্নে বাংলার ভূমিকা অপরিহার্য।” এর আগে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন রাজ্যপাল। ১৯৪৭-এ সেই দিন বঙ্গ প্রদেশের আইনসভার বাংলা ভাগ নিয়ে ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত হয়। ‘জয় পশ্চিমবঙ্গ’, ‘জয় হিন্দ’ বলে বক্তৃতা শেষ করলেও বোস রাজ্য সরকারের বাংলা দিবস নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Nabanna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy