প্রস্তুতি-বৈঠক: প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক মন্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনে ভিভিআইপিদের পৌঁছনোর জন্য জলপাইগুড়ি শহরে দু’টি হেলিপ্যাড তৈরি রাখার নির্দেশ এসেছে নবান্ন থেকে। আগামী শনিবার জলপাইগুড়িতে বেঞ্চের উদ্বোধন হবে। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এ দিন সোমবার উদ্বোধনের প্রতি মিনিটের অনুষ্ঠানের সূচি পাঠানো হয়েছে। প্রদীপ জ্বালানোর পরে জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ ব্যান্ডে জাতীয় সঙ্গীতের সুর বাজিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে। মূল মঞ্চে মাত্র ৬ জন ভিভিআইপি থাকবেন।
অনুষ্ঠানের গাম্ভীর্য এবং ভিভিাইপিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে শহরের ত্রিশটি জায়গা ছাড়াও জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং জেলার আদালতগুলিতে অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ দিন সোমবারই রাজ্যের নিরাপত্তা বিভাগের (ডিরেক্টর সিকিউরিটি) অফিসাররা জলপাইগুড়িতে চলে এসেছেন। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও এ দিন জলপাইগুড়িতে এসে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেছেন। মন্ত্রী জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া সার্কিট বেঞ্চের আদালত ভবনের তিন তলাতে ‘সেরিমোনিয়াল লাঞ্চে’র আয়োজন হবে। তিন তলায় সামিয়ানাও বাঁধতে হবে। সামিয়ানার কাপড়ে ছেটানো হবে অগ্নিনিরোধক স্প্রে। তাতে অন্তত চার ঘণ্টা আগুন ধরার কোনও আশঙ্কা থাকবে না। কলকাতা থেকে এই স্প্রে নিয়ে আসতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয়বাবু। তিনি ওই দফতরেরও মন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের আইনমন্ত্রী এবং কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জলপাইগুড়ি বেঞ্চের রেজিস্ট্রার থাকবেন বলে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অন্য বিচারপতি এবং মন্ত্রীরা মঞ্চের সামনে ভিআইপি জোনে বসবেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিধায়ক. সাংসদ এবং আইনজীবীদের প্রতিনিধিরা থাকবেন। সব মিলিয়ে কমবেশি পাঁচশো জনের বসার জায়গার ব্যবস্থা থাকবে।
শুক্রবার থেকেই ভিভিআইপিরা জলপাইগুড়িতে আসতে শুরু করবেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল হেলিকপ্টারে আসতে পারেন বলে খবর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বেঞ্চের সামনে থেকে সব দখলদারদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত ভবন চত্বরকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মশামুক্ত করার কাজও চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy