এ বার পুণ্যার্থীদের যাতায়াত থেকে শুরু করে মেলাপ্রঙ্গণের হালহকিকত সরাসরি দেখবে নবান্ন। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। এ বছর যে হেতু কুম্ভ মেলার আসর বসছে না, তাই সাগর দ্বীপে এ বার বিপুল জনসমাগমের আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি, মেলায় নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। এ বার সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে গঙ্গাসাগর মেলায় নজরদারি চালানো হবে। পুণ্যার্থীদের যাতায়াত থেকে শুরু করে মেলাপ্রঙ্গণের হালহকিকত সরাসরি দেখবে নবান্ন। ভিড়ের উপর নজর রাখতে মেলার বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সঙ্গে লাগাতার উড়ছে ড্রোন। আর তার ছবিই যেমন মেলার কন্ট্রোল রুমে দেখতে পাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা, তেমনই তার একটি ফিড পাঠানো শুরু হয়েছে নবান্নেও। সেখান থেকেও চলবে আর একদফা নজরদারি। ১০ তারিখেই গঙ্গাসাগর মেলায় এই নজরদারি সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সেখান থেকেই ফিড পাঠানো হচ্ছে নবান্নে।
১০ জানুয়ারি থেকে নবান্নে ফিড পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। ওই দিন সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হবে সাগর দ্বীপে। সেই কারণে যাত্রী নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। যেই কারণে এবার সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলাপ্রাঙ্গণকে। উড়ছে একাধিক ড্রোন। কপিল মুনির আশ্রমের সামনেও থাকছে সিসিটিভি।
প্রশাসনের বৃত্তে থাকা আধিকারিকদের থেকে জানা যাচ্ছে, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ১১০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ২০টি ড্রোন ক্যামেরা উড়ছে সেগুলিতে জিপিএস লাগানো রয়েছে। প্রতিটি ভেসেলেও এই যন্ত্র রয়েছে। পুণ্যার্থীরা এক প্রকার নজরবন্দি থাকবেন এই ক্যামেরার মাধ্যমে।
কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বাড়তি সতর্ক জেলা প্রশাসন। বুধবার কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাওয়ার ট্রানজিট পয়েন্টের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও কলকাতা পুলিশের তরফে সিসিটিভি ক্যামেরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy