Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩

কম নম্বর পাওয়ায় বিক্ষোভ কল্যাণীতে

পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর দাবিতে ভাঙচুর, আন্দোলন চলল শিক্ষাঙ্গনে। এর আগে কম নম্বর পেয়েও ভর্তির দাবিতে বা পরীক্ষায় নকল করতে চেয়ে আন্দোলন হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শুক্রবার কলকাতা ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একদল পড়ুয়া পরীক্ষায় পাশ করেও নম্বর কম পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পাশ করানোর পাশাপাশি ৫৫ শতাংশ নম্বরের দাবিতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। অবস্থান বিক্ষোভও করেন তাঁরা। শুক্রবার সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

পাশ করানোর পাশাপাশি ৫৫ শতাংশ নম্বরের দাবিতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। অবস্থান বিক্ষোভও করেন তাঁরা। শুক্রবার সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৯
Share: Save:

পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর দাবিতে ভাঙচুর, আন্দোলন চলল শিক্ষাঙ্গনে।

Advertisement

এর আগে কম নম্বর পেয়েও ভর্তির দাবিতে বা পরীক্ষায় নকল করতে চেয়ে আন্দোলন হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শুক্রবার কলকাতা ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একদল পড়ুয়া পরীক্ষায় পাশ করেও নম্বর কম পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পার্ট ওয়ান পরীক্ষার্থীরা অবশ্য শুধু উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের ঘরের সামনে জড়ো হয়ে নিজেদের ক্ষোভ জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে তাঁরা চলে যান।

কিন্তু কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে রীতিমতো ভাঙচুর হয়েছে। বিভাগের অফিসের টেবিলের কাচ, দেওয়াল ম্যাগাজিনের কাচ, জানালার কাচ, শিক্ষকদের তালিকার বোর্ড, নেমপ্লেট, টিউব লাইট, ফ্যানও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ক্লাসরুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

এ দিন সাড়ে বারোটা নাগাদ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরের তৃতীয় সেমেস্টারের ফল প্রকাশ হয়। সেই তালিকা দেখেই পড়ুয়াদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। ৬৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে দশ জন অনুত্তীর্ণ। মাত্র এক জন ৫৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। বাকিদের অধিকাংশই পেয়েছেন শতকরা ৪০-৪৫% করে।

Advertisement

১টা নাগাদ শুরু হয় পড়ুয়াদের চিৎকার চেঁচামেচি। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তখন শিক্ষক ও আধিকারিকেরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এর পরই উত্তেজনা বাড়ে। এই পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগ দেন প্রথম ও দ্বিতীয় সেমেস্টারের পড়ুয়ারাও। সব মিলিয়ে শ’দেড়েক পড়ুয়া ওই আন্দোলনে সামিল হন। ওই ছাত্রছাত্রীদের দাবি, আশানুরূপ নম্বর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পর্যন্ত দিয়েছেন। কম নম্বর পেলে নেট বা সেট এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসার সুযোগ হাতছাড়া হয়।

বিকেল ৪টে নাগাদ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সামনে পুলিশও যায়। কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ অবশ্য বেরিয়েও চলে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন সুমিত মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁরা পুলিশ ডাকেননি। কল্যাণীর মহকুমা পুলিশ অফিসার রানা মুখোপাধ্যায় জানান, ১৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন দাবিতে ভাঙচুর চালানোর পরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

আন্দোলন ওঠে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। সুমিতবাবু বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেটা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” তাঁর কথায়, এ দিন আবেগের বশেই কিছু পড়ুয়া গন্ডগোল করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.