Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩

ধর্ষণ সন্দেহে প্রহৃত ২

জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের সন্দেহে মারধর করা হল স্থানীয় দুই যুবককে। তাদের মধ্যে একজনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ওই যুবক পালিয়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০৬
Share: Save:

জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের সন্দেহে মারধর করা হল স্থানীয় দুই যুবককে। তাদের মধ্যে একজনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ওই যুবক পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় কৃষ্ণনগররে মহিলা থানায় পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

এ দিকে, বৃদ্ধার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ও হাসপাতাল চত্বরে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় প্রশ্ন উঠছে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে অসুস্থ ওই বৃদ্ধাকে তাঁর এক প্রতিবেশী পুলিশের সহযোগিতায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে মঙ্গলবার ভর্তি করেন। কিন্তু শুক্রবার তিনি হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। কিন্তু ওই দিন রাতেই তাঁকে হাসপাতাল চত্বরে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর ধারেকাছে ওই দুই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। হাসপাতালের দুই সাফাইকর্মী ওই বৃদ্ধার খোঁজে বেরোন। কিন্তু বৃদ্ধার খোঁজ মেলেনি। পরে তাঁরা তাঁদেরই আবাসনের ছাদে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে ওই দুই যুবকে দেখতে পান। এরপরই ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণের সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতে একজনের মাথা ফেটে যায়। তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে বিষয়টি জানার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই বৃদ্ধাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেই সঙ্গে নানা পরীক্ষাও করা হয়। যদিও সেই পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

অন্য দিকে, হাসপাতাল চত্বরে এমন অভিযোগ ওঠায় রোগীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘প্রশ্নটা অভিযোগের সত্যতা নিয়ে নয়, প্রশ্নটা হল এমন অভিযোগ উঠবে কেন? তা হলে হাসপাতালে রোগীদের নিরাপত্তা কোথায়?’’

Advertisement

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার দেবব্রত দত্ত বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার মানসিক পরীক্ষার পাশাপাশি অন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধা মানসিক ভারসাম্যহীন।’’ অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু করেন মহিলা থানার পুলিশও।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশসুপার অজয় প্রসাদ বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ধর্ষণের প্রমান মেলেনি বলে তারা আমাদের জানিয়েছে।’’ ঘটনার পর থেকেই অবশ্য দুই যুবকই পলাতক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.