E-Paper

সাড়ে তিন কেজি সোনা-সহ ধৃত তিন

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর ওই তিন যুবক পালানোর চেষ্টা করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ০৮:০১
সোনা পাচারের সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল তিন পাচারকারী।

সোনা পাচারের সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল তিন পাচারকারী। নিজস্ব চিত্র।

সোনা পাচারের সময় ৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল তিন চোরাকারবারি। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ধানতলা থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বরণবেরিয়া গ্রামে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩০টি সোনার বিস্কুট, দু’টি মোটরবাইক ও একটি ইঞ্জিনভ্যান। ধৃতেরা হল রোহন দাস, অর্ণব কর্মকার ও ছোট কর্মকার। তাদের ধানতলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। রবিবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিএসএফের দাবি, গোপনে খবর পেয়ে সীমান্তে নজর রাখছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা। সন্ধে নামতে দু’টি মোটরবাইক ও একটি ইঞ্জিন ভ্যান-সহ তিন যুবককে আটকে শুরু হয় তল্লাশি। উদ্ধার হয় ৩০টি সোনার বিস্কুট। ওই সোনার বিস্কুটগুলো মোটরবাইক ও ইঞ্জিনভ্যানে লুকিয়ে নিয়ে গ্রাম থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের ওজন প্রায় সাড়ে তিন কেজি। যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর ওই তিন যুবক পালানোর চেষ্টা করে। গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ধৃতেরা জানিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জ থানার বানপুরে এক চোরাকারবারীর হয়ে তারা ক্যারিয়ারের কাজ করত। তাদের কাজ ছিল সীমান্ত থেকে ওই সোনার বিস্কুট বানপুরের ওই কারবারীর কথা মতো বনগাঁতে পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য তাদের টাকা দেওয়া হত।

কিছু দিন আগে রাতে অন্ধকারে গরু পাচারে বাধা দেওয়ায় এক জওয়ানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় পাচারকারীরা। বছরখানেক আগে হাবাসপুর সীমান্ত এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। তার পর থেকে ধানতলা থানার বরণবেরিয়া, পাখিওড়া, হাবাসপুর, কালোপুর, নারায়ণপুর কুলগাছি ইত্যাদি সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবার যে নির্মূল হয়নি, শনিবারের ঘটনা তারই উদাহরণ। বিষয়টি নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গের জনসংযোগ আধিকারিক অমরেশকুমার আর্য বলেন, ‘‘সীমান্তে অপরাধ দমনে আমাদের জওয়ানরা সবসময় সতর্ক। ২৪ ঘন্টাই নজরদারি চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ranaghat Gold Smuggler

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy