Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Bombing

বোমা-গুলিতে উদ্বিগ্ন ফরাক্কায় গ্রেফতার ৪

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৫৭
Share: Save:

কেন্দুয়াতে বোমা ও গুলিকাণ্ডে খুনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করল ফরাক্কা থানার পুলিশ। সামান্য বিবাদেই গুলি-বোমা চলায় উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ। তবে পুলিশের তৎপরতায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

হুমকি, বচসা থেকে সংঘর্ষে মঙ্গলবার বিকেলে নাজির হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ড লাগোয়া কেন্দুয়াতে পুলিশি টহলদারি চলছে। মৃতের দাদা মতিউর রহমান এই ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। তাঁর অভিযোগ, বোমা ছুড়ে মারার পর ভাইকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় বুকের মধ্যে। তাতেই মৃত্যু হয় নাজিরের।

পুলিশ এই খুন ও সংঘর্ষের ঘটনায় পাক্কা শেখের বাবা বাবলু শেখ ও তাদের তিন সঙ্গী ইসব শেখ, জাবুল শেখ ও সানাউল্লা মোমিনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত পাক্কাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। সম্ভবত পাশেই ঝাড়খণ্ড এলাকায় পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

কেন্দুয়ার এই এলাকায় বরাবরই দুষ্কৃতীদের দাপট রয়েছে। এই কেন্দুয়াতেই রেললাইন পাতা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থেকে এই লাইন দিয়ে এনটিপিসিতে কয়লার রেক ঢোকে। পাশেই একটি নামী সিমেন্ট কারখানা। তার পাশেই ফরাক্কা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই গাদা (অ্যাশপন্ড)। গ্রাম লাগোয়া জেলা পরিষদের টোল প্লাজ়া। এখান থেকেই ফরাক্কার বাহাদুরপুর হয়ে ঝাড়খণ্ডের প্রথম গ্রাম জীবনপুর। ৫ কিলোমিটার পথ। এই রাস্তা গিয়ে উঠেছে কোটালপুরে। এই এলাকায় ঝাড়খণ্ড বা ফরাক্কা থানার পুলিশের আনাগোনা কম।

অভিযোগ, তারই সুযোগ নিয়ে কিছু দুষ্কৃতী এই এলাকায় চালিয়ে যায় তোলাবাজির কারবার। ফরাক্কা থানার আই সি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সে দিনের খুনের ঘটনাও অতি সামান্য। এক জন আর এক জনকে নাকি মারার হুমকি দিয়েছে। তাই নিয়েই গোলমাল ও সংঘর্ষ। আদৌ হুমকি দিয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখারও চেষ্টা না করেই বোমা নিয়ে হামলা হয়েছে। গুলি চলেছে কি না, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে বোঝা যাবে না। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।’’

এলাকাটি ভাল নয় মানছে পুলিশও। তবে পুলিশের দাবি, মাঝে মধ্যেই পুলিশের টহলদারিতে বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bombing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE