রবিবার নদিয়ার তেহট্টে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু চার বন্ধুর। — প্রতীকী চিত্র।
সরস্বতী ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার সময়ে নদিয়ার তেহট্টে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার তরুণের। কানাইখালি রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে একটি বাইকে চেপেই ফিরছিলেন চার বন্ধু। সেই সময়ে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে একটি গাছে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে বাকি দু’জনেরও মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তরুণেরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। মৃতদের নাম সুমন মণ্ডল (১৯), তন্ময় বিশ্বাস (২০), দ্বীপ মণ্ডল (২২) এবং মণীশ বিশ্বাস (২০)। মণীশের বাড়ি তেহট্ট থানা এলাকারই ছিটকা গ্রামে। বাকি তিন জনের বাড়ি আস্তুল্লানগর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চার বন্ধু বাইক নিয়ে করিমপুরে গিয়েছিলেন সরস্বতী ঠাকুর দেখতে। সেখান থেকে ফেরার পথে রাজ্য সড়কের ধারে একটি মদের দোকানে দাঁড়ান তাঁরা। সেখানে মদ্যপান করে ফের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। চার সওয়ারিকে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে বাইকটি। ছিটকে পড়ে যান চার বন্ধু। শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। প্রথমে নাজিরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি দু’জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বাকি দু’জনের।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, বাইকটি দ্রুত গতিতে চালানো হচ্ছিল। দুর্ঘটনার সময়ে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতাও কম ছিল। তাঁদের অনুমান, মত্ত অবস্থায় থাকা এবং দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরাও। তেহট্ট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় দু’জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকি দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তাঁরা মারা যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy