বহরমপুর পুরসভায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা সকলেই কংগ্রেসের পুর-কর্মী সংগঠনের সদস্য। শুক্রবার, তাঁদের মুর্শিদাবাদ সিজেএম আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের চোদ্দ দিনের জেলহাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এ দিন ছিল আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ছিল। কংগ্রেসের দাবি, ধৃতদের হয়ে কেউ সওয়াল করতে না পারা ফলে ওই কংগ্রেস কর্মীদের জামিনের আবেদন করা যায়নি।
পুরসভায় গণ্ডগোলের জেরে কংগ্রেসের পুরকর্মী সংগঠনের ১৫ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতেই পুর-সম্পত্তি নষ্ট এবং তৃণমূল পুরকর্মী সংগঠনের নেতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়কে মারধর করার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, মহিলা পুরকর্মীদের শ্লীলতাহানিরও।
কংগ্রেসও পাল্টা অভিযোগ করেছিল— নাড়ুগোপাল-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে অভিযোগ ‘গ্রাহ্য’ করেনি পুলিশ। এমনই দাবি জেলা কংগ্রেস নেতাদের। পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদ করে শুক্রবার সকালে প্রায় এক ঘণ্টা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ করে কংগ্রেস। এর ফলে সকাল দশটা থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। স্তব্ধ হয়ে য়ায় যান চলাচল।
বহরমপুর শহরেও গির্জা মোড়ে ৩৪ জাতীয় সড়কও অবরোধ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেই আচমকা বহরমপুরে পাল্টা মিছিল বের করে তৃণমূল। ফের গণ্ডগোলের আশঙ্কায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে, তেমন বড় কোনও ঝামেলা পাকেনি।
এ দিন, বহরমপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি অতীশ সিংহ বলেন ‘পুরসভা কার্যালয়ে গণ্ডগোল পাকাল তৃণমূল। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। আর গ্রেফতার করা হল সেই আমাদের কর্মীদের।’’ দলীয় কর্মীদের মারধর, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং দলীয় কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে আগামী ৩ এপ্রিল বহরমপুর মিছিলের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
পাল্টা তোপ দেগে, ৪ এপ্রিল জেলা ছাত্র ও যুব তৃণমূল বহরমপুরে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy