Advertisement
E-Paper

সেতু থেকে ঝাঁপ ছাত্রীর

মঙ্গলবার সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নয় সদস্যের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে নদীতে তল্লাশি চালায়। সেতুর নীচের বিভিন্ন জায়গায় ডুবুরি নামিয়ে ছাত্রীর খোঁজ চালানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৬
A picture showing group of men are in a mission of finding a student who jumped into the river

ছাত্রীর খোঁজে চলছে তল্লাশি। রানাঘাটের আনুলিয়ায়। নিজস্ব চিত্র।

প্রেমের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। পরিবারের দাবি, সেই ঘটনার জেরেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। সোমবার রাতে রানাঘাটের আনুলিয়ার এই ঘটনা ঘটে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে ডুবুরি নামিয়েও ওই ছাত্রীর খোঁজ পায়নি।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ছাত্রীর নাম অনিষা বর্মন। বাড়ি আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দীঘাট বর্মনপাড়ায়। সোমবার রাত প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ চূর্ণী নদীর উপরে থাকা আনুলিয়া-মাজদিয়া সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয় অনিষা। সে আনুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের ছাত্রী। তাকে নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখে স্থানীয়েরাই রানাঘাট থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই সেতুর উপর থেকে ছাত্রীর বইয়ের ব্যাগ উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নয় সদস্যের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে নদীতে তল্লাশি চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সেতুর নীচের বিভিন্ন জায়গায় ডুবুরি নামিয়ে ছাত্রীর খোঁজ চালানো হয়। তবে খোঁজ মেলেনি তার।

অনিষার বাবা সঞ্জিত বর্মন কর্মসূত্রে দিঘায় থাকেন। রাতেই তিনি মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার খবর পান। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে থাকি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক হয়েছিল। তার জেরেই মেয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য হয়তো নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে।’’

নিখোঁজ ছাত্রীর গৃহশিক্ষক সৌগত বর্মন বলেন, ‘‘অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মতো ওই দিন বিকেল প্রায় পাঁচটা নাগাদ অনিষা আমার বাড়িতে পড়তে এসেছিল। পড়ানো শুরুর শুরুতেই ও আমায় একটু তাড়াতাড়ি ছুটি দেওয়ার কথা বলে। অন্যদের সাড়ে ছ’টা নাগাদ ছুটি দিলেও অনিষা ছ’টার পর পর আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে ওর আচরণের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ করিনি আমি।’’

নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগের মুহূর্তে ওই ছাত্রীকে এক যুবকের সঙ্গে সেতুতে দেখেছিলেন স্থানীয়দের অনেকে। তাঁদেরই দাবি, দু’জন নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করছিল। তার পরেই আচমকা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয় মেয়েটি। যুবকটিও সেই জায়গা থেকে চলে যায়।পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তার খোঁজে নদীতে তল্লাশি চলছে।

Rescue Mission drowning school student Ranaghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy