Advertisement
E-Paper

সম্পত্তির লোভে সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা! আটক মা ও সৎ বাবা, তদন্তে চাকদহ থানার পুলিশ

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্কুশ বিশ্বাস রাউতাড়ি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে অঙ্কুশের বাবা অমিয় বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার আগে নাবালক পুত্রের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:৪৩

— প্রতীকী চিত্র।

স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি ছিল পুত্রের নামে। সেই সম্পত্তি ‘আত্মসাৎ’ করতে নিজের ছেলেকেই অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী এবং শ্বশুরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছেলেকে অপহরণের ছক কষেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার তাঁরা একটি সাদা গাড়ি করে সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পড়ুয়ার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। গাড়িটিকে আটকে রেখে চাকদহ থানায় খবর দেন তাঁরা। অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি নদিয়ার শিমুরালি চৌরাস্তা মোড়ে ঘটেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্কুশ বিশ্বাস রাউতাড়ি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে অঙ্কুশের বাবা অমিয় বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার আগে নাবালক পুত্রের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন তিনি। অঙ্কুশের মা তাকে শিমুরালি পঞ্চায়েতের তেলেপুকুর এলাকায় বাপের বাড়িতে রেখে দমদমের এক বাসিন্দাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। দাদু, দিদার কাছেই থাকে অঙ্কুশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্কুলের পরীক্ষার শেষে এক বন্ধুর মায়ের সঙ্গে চাঁদুড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সৎসঙ্গ এলাকার বাড়িতে ফিরছিল অঙ্কুশ। সেই সময় তাঁরা একটি খাবারের দোকানে যান। তখনই ‘পুলিশের স্টিকার’ লাগানো একটি সাদা গাড়ি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। জোর করে গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করলে চিৎকার শুরু করে অঙ্কুশ। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। খবর দেওয়া হয় চাকদহ থানার পুলিশকে। অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেন অপহরণের চেষ্টা? প্রশ্ন করা হলে ওই পড়ুয়ার মা বলেন, “আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যেতে পারব না?” অঙ্কুশের দাদু বলেন, “নাতিকে আমার কাছে রাখার আইনি অধিকার রয়েছে। আদালত থেকে সেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে।” অঙ্কুশ জানায়, “বাবার টাকা নেওয়ার জন্য আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল আমার মা, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ও শ্বশুর।”

school student Kidnap police investigation Nadia Minor Boy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy