Advertisement
০২ মে ২০২৪
Unnatural Death

শিশুসন্তান নিয়ে মা 'আত্মঘাতী'

পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার (২৪) এবং তাঁর দেড় বছরের ছেলে প্রিয়াস সরকার। দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।

An image of the death

ছেলে কোলে প্রিয়াঙ্কা —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাদকুল্লা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১৩
Share: Save:

ঘরের মধ্যে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হলেন মা-ছেলে। পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন, বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃত ঘোষণা করা হয় শিশুটিকে।

পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার (২৪) এবং তাঁর দেড় বছরের ছেলে প্রিয়াস সরকার। দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তাহেরপুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের জেরে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরে ছেলেকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা ২ পঞ্চায়েতের মণ্ডপঘাট এলাকায়। সেখানেই দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন প্রিয়াঙ্কা। এ ছাড়াও বাড়িতে আছেন তাঁর শাশুড়ি। প্রিয়াঙ্কার স্বামী কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রিয়াঙ্কার শাশুড়ি চিকিৎসকের কাছে যান। বাড়িতে সময় ছিলেন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর ছোট ছেলে। বড় ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। সে স্কুলে ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেই সময়ে পাশের একটি বাড়িতে নির্মাণকাজ চলছিল। সেখানে কর্মরত রাজমিস্ত্রিরা দেখতে পান, ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তাঁরাই আশপাশের লোকজনকে নিয়ে ছুটে আসেন। দেখা যায়, ঘরের দরজা বন্ধ, বাড়ির গ্রিলও ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে কারও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাঁরা প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর ছেলেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।

বাদকুল্লা ২ পঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্য উজ্জ্বল শিকদার বলেন, "আশপাশের বাসিন্দারা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে দু'জনকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমিও যাই। পুলিশকে জানানো হয়।" ঘর থেকে একটা হ্যারিকেন উদ্ধার করেছে পুলিশ। কেরোসিনের গন্ধও ছিল ঘরে। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি চোখের সমস্যা হওয়ায় তা নিয়ে চিন্তার মধ্যে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mother-Son Nadia police investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE