E-Paper

ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা, ধৃত

জেএনএম ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বুক ও পেটের এক্স-রে করাতে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৯
অভিযুক্ত কল্যাণ জানাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কল্যাণী থানা থেকে।

অভিযুক্ত কল্যাণ জানাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কল্যাণী থানা থেকে। —নিজস্ব চিত্র।

ডাক্তারি-পড়ুয়া ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মেডিক্যাল কলেজের ভিতরেই। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের (জেএনএম) ডিজিটাল এক্স-রে ইউনিটের এক টেকনিশিয়ান যুবক কল্যাণ জানা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেএনএমে সরকারি-বেসরকারি অংশদারিত্বে চলা (পিপিপি মডেল) ওই ডিজিটাল এক্স-রে ইউনিটের টেকনিশিয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ওই যুবককে কল্যাণী মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

জেএনএম ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বুক ও পেটের এক্স-রে করাতে যান। এক্স-রে করার সময়ে ওই টেকনিশিয়ান তাঁর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ছাত্রীর। মেডিক্যাল কলেজের বন্ধুবান্ধবেরা তা জানতে পেরে সেখানে পৌঁছান। কলেজ কর্তৃপক্ষের আধিকারিকও সেখানে পৌঁছে যান। রাতেই ওই ছাত্রী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কল্যাণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ পুলিশে জানালে ওই রাতেই পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। এর পর কল্যাণকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই বিষয়ে কথা বলতে চেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর ব্যস্ততার কারণে এই বিষয়ে কথা বলা যায়নি। অন্য দিকে, জেএনএম সুপার সৌম্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও একজন মেডিক্যাল ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, এক্স-রে করাতে গিয়ে কিছু সমস্যা বা খারাপ ব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে দেখতে বলেছি। আমাদেরও তদন্ত কমিটি হবে। তাঁরাও বসবেন খুব শীঘ্রই।”

অন্য দিকে, ওই পিপিপি মডেলে চলা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার তরফে আশিস সাহাকে ফোন করা হলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি’ বলে এ দিন ফোন কেটে দেন।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কল্যাণের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানা এলাকায়। কর্মসূত্রে সে কল্যাণীর ঝিলপাড় এলাকায় বাড়ি ভাড়া
নিয়ে থাকত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalyani

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy