E-Paper

তৃণমূল নেতার নাম দুই জায়গার ভোটার তালিকায়

গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি পুরসভার ভোটার তালিকাতেও সেই নির্মল কর্মকারের নাম রয়েছে, তা-ও আবার পৃথক ক্রমিক সংখ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ০৭:৫৯
নির্মল কর্মকার।

নির্মল কর্মকার। —নিজস্ব চিত্র।

তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্যও। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি পুরসভার ভোটার তালিকাতেও সেই নির্মল কর্মকারের নাম রয়েছে, তা-ও আবার পৃথক ক্রমিক সংখ্যায়।

ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যখন দলের নেতাকর্মীদের বুথ স্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিচ্ছেন, তখন তাঁদের দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যের আলাদা দুই ঠিকানায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

রানাঘাট ২ ব্লকের অধীনে রয়েছে রঘুনাথপুর হিজুলি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ওই পঞ্চায়েতে প্রধান হন তৃণমূলের নির্মল কর্মকার। বর্তমানে তিনি পঞ্চায়েতের সদস্য। অথচ রানাঘাট শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার তালিকাতে তো নাম রয়েছেই।

ফলে পঞ্চায়েতের এই সদস্য বর্তমানে রানাঘাট পুরসভা এলাকার একজন ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বলেই দাবি বিজেপির। তবে নির্মলের দাবি, "আমি পঞ্চায়েতে ভোট দিই। পুরসভায় কখনও ভোট দিইনি। আমি জানতাম না যে দুই জায়গায় আমার নাম রয়েছে। বিষয়টি জানার পরেই রানাঘাট শহরের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন জানিয়েছি।"

১৫ বছর ধরে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এক বারের পঞ্চায়েত প্রধান হয়েও কী ভাবে রানাঘাট পুরসভার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম উঠল, সেই প্রশ্ন নিয়েই এখন সরব হয়েছে বিজেপি। রানাঘাট পুরসভার একমাত্র বিজেপি পুরপ্রতিনিধি কামনাশীষ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "তৃণমূল এই ভূতুড়ে ভোটারদের উপর ভর করেই ২০২৬-এ রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। আবার ওরাই এখন ভূতুড়ে ভোটার খোঁজার নামে মিথ্যা নাটক করছে। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।"

তবে রানাঘাটের পুরপ্রধান, তৃণমূলের কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কোনও ব্যক্তির নাম যাতে দুই জায়গায় না থাকে, তার জন্যই আমাদের আন্দোলন। অস্তিত্ববিহীন, মৃত এবং এক ব্যক্তির একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা কখনই কাম্য নয়।" রঘুনাথপুর হিজুলি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের রূপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে এক জায়গা থেকে নিশ্চয়ই তাঁর নাম বাদ যাবে।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

District TMC Voter Card

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy