দরজা হাট করে খোলা। ঘরের মেঝেতে পড়ে বাড়ির মালকিনের ক্ষতবিক্ষত দেহ। ভয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন ভাড়াটিয়ারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। অভিযোগ, ওই মহিলাকে কেউ বা কারা খুন করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার চাকদহের পুমলিয়া এলাকায়।
মৃতার নাম মমতা চক্রবর্তী (৪৩)। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুমলিয়া এলাকায় একটি বাড়ির দোতলায় একাই থাকতেন তিনি। বাড়িটি তাঁর। নীচের তলায় একটি পরিবার ভাড়়া থাকে। মমতার স্বামী এবং পুত্র— দু’জনেই ভিন্রাজ্যে থাকেন। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকে মায়ের মোবাইলে ফোন করে উত্তর পাননি মমতার পুত্র সোহন চক্রবর্তী। রবিবার সকালেও একই ব্যাপার। অগত্যা ভাড়াটিয়াকে ফোন করে মায়ের খবর জানতে চান সোহন।
সোহনের ফোন পেয়ে দোতলায় উঠে ভাড়াটিয়ারা দেখেন নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মমতা। সেই দেখে প্রতিবেশীদের ডাকেন ভাড়াটিয়ারা। জানানো হয় সোহনকেও। খবর দেওয়া হয় তাঁর স্বামী সমীরকে। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন মমতার স্বামী এবং পুত্র। তাঁদের দাবি, মমতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় দাগ রয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর শরীরের সমস্ত গয়নাও উধাও। তাঁদের অনুমান, এটি নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত খুন। চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যেও খুন হতে পারেন বলে মনে করছে মৃতার পরিবার।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কী ভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।