নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেথুয়াডহরিতে। ছবি: প্রণব দেবনাথ Sourced by the ABP
নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে তিনি জেলায় এলেন, প্রত্যাশামতো রোড শো এবং রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। বৃহস্পতিবার নদিয়ায় সারাদিনের পথচলায় মাইক ধরে মুখে কিছুই বলেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একেবারে শেষে রাতে কালীগঞ্জের পানিঘাটায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন যে, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আজ শুক্রবার কল্যাণীতেই আপাতত শেষ দলীয় অধিবেশন করবেন তিনি। তবে নবজোয়ার যাত্রা যেমন চলছে তেমনই চলবে। এ দিন বেলা চারটে নাগাদ প্রথম কৃষ্ণনগর রোড স্টেশন এলাকায় অভিষেকের কনভয় ঢোকে। সেখান থেকে মিনিট পনেরোর মধ্যে ধুবুলিয়া গিয়ে কিছুটা পায়ে হেঁটে এসে যান একটি মিষ্টির দোকানে। তাঁর উপস্থিতিতে ধুবুলিয়াতেই পাঁচ জনের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়। যদিও দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়, এ দিন মোট ২০ জনকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। তবে ধুবুলিয়াতে এ দিন আশানরূপ ভিড় হয়নি বলে খবর।
বিকাল পৌনে ছ’টা নাগাদ নাকাশিপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরি পৌঁছোয় তাঁর কনভয়। সেখানে ভিড় ভালই ছিল। যুগপুর থেকে রাস্তার দুই ধারে কর্মী-সমর্থকেরা দাঁড়িয়েছিলেন। ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে।বেথুয়াডহরি জেসিএম হাইস্কুল থেকে স্ট্যাচু মোড় পর্যন্ত গাড়ির উপর উঠে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। স্ট্যাচুর মোড়ে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের মূর্তিতে মালা দেন। কিন্তু দলীয় সূত্রের খবর, ভিড়ে আটকে যাওয়ায় সেখান থেকে আর নেতাজির মূর্তিতে মালা দিতে যেতে পারেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার, পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট প্রক্রিয়ায় ছিল কালীগঞ্জের পানিঘাটার ইউডিএমআই স্কুলে মাঠে। এ দিন দুপুর থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের আঞ্চল সভাপতি থেকে, বুথ সভাপতি ও ব্লক কমিটির সদস্যেরা ভোট দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু করেন। এ দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি পলাশিপাড়ার বার্নিয়ায় সুরেন্দ্রনাথপুর মোড়ে পৌঁছোন। সেখান থেকে প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তায় পায়ে হেঁটে রোড শো করেন খেপা দরগা পর্যন্ত। ভিড় সেখানে ভালই ছিল আর প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ পানিঘাটায় তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy