তিনি অসুস্থ। এমনই যে, সামনেই লোকসভা নির্বাচনে তাঁর জেতা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ আসনে দাঁড়াতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলেরই একাংশের মনে। ওই মুর্শিদাবাদ আসনে সিপিএম-কংগ্রেস সমঝোতা করে বাম প্রার্থী দাঁড়াতে পারে, এমন খবরও ভাসছে। তার একটি কারণ, তিনি না দাঁড়ালে তৃণমূল যাঁকেই প্রার্থী করুক, তাঁর মতো শক্তিশালী প্রার্থী পাওয়া শক্ত। সেই আবু তাহেরকে দেখা গেল সোমবার দিল্লির রাজঘাটে তৃণূলের কর্মসূচিতে। যার পরে শাসক দলের একাংশের বক্তব্য, তাহেরই যে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে আবার দাঁড়াবেন, এ তারই ইঙ্গিত। তাতে অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটবে বলেও তাঁদের ধারণা।
এ দিন তাহের হুইল চেয়ারে বসে প্রায় দু'ঘণ্টা অবস্থান করেন। প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহের। ওই দিন রাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে স্নায়ু ও ফুসফুসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তাঁর। গত ২০ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির বাসভবনে থাকার পাশাপাশি সেখানে বসন্তকুঞ্জে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করানো হচ্ছে তাঁর। তাঁর ভাগ্নে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান শেখ বলেন, ‘‘মামা আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ। আমরা তাঁর এই ইচ্ছাশক্তি দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’’ আবু তাহের খান মোবাইল ফোনে জানান, রবিবার রাতে সাংসদ সৌগত রায়ের দিল্লির বাসভবনে দলের সাংসদ, মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকেও তিনি যোগ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তরে দলের কর্মসূচিতেও যোগ দেবেন বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy